স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা প্রসারে সবসময় অগ্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের দরিদ্র ও বঞ্চিত ১ কোটি শিক্ষার্থীদের মাঝে মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান, মায়েদের মোবাইল প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ, উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) শেভরনের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন আয়োজিত ‘গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষা বিষয়ক সামার স্কুল-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য শুরু করেন।
এইউডব্লিউ ডিন অব ফ্যাকাল্টি ও একাডেমিক এফেয়ারস ডক্টর বীণা খুরানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য ডক্টর রুবানা হক, শেভরন বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির এবং লিগ্যাল এর পরিচালক মানাল মোহাম্মদ।
স্পিকার তৃণমূলের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের এইউডব্লিউর সামার স্কুলে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এইউডব্লিউ এবং শেভরন বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। সরকারের সাথে যৌথ উদ্যোগে এমন প্রোগ্রাম শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য ডক্টর রুবানা হক শিক্ষার্থীদের মাঝে যোগ্যতা সনদ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ সপ্তাহব্যাপী ভিন্নধর্মী সামার স্কুল প্রোগ্রামে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য পেশাদার ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, কম্পিউটার কোডিং এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিজ্ঞান সেশন পরিচালনা করেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সর্বমোট ৫১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সামার স্কুলে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরুপ যোগ্যতা সনদ প্রদান করা হয়েছে।
স্পিকার বলেন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) এর শিক্ষা প্রদান প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সফলতার সাথে এগিয়ে যেতে আত্মপ্রত্যয়ী করছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং নিজের স্বপ্নের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে অধ্যয়ন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষিত জাতি প্রয়োজন।
এ সময় তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে স্পিকার বায়েজীদ লিংক রোডস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। শেষে তিনি চট্টগ্রাম ডিসি পার্ক পরিদর্শন করে বৃক্ষরোপণ করেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এইউডব্লিউ সামার স্কুল-২০২৩ এর সমন্বয়ক সুমাইয়া হালিম ও নুজহাত জাহান। সমাপনী অনুষ্ঠানে এইচএসই পরিচালক মুনাওয়ার হেলাল চৌধুরী এবং কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ও সামাজিক বিনিয়োগ ম্যানেজার তুষারুজ্জামান খন্দকার, আমন্ত্রিত অতিথি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Collected From Risingbd