Facebook Youtube Twitter LinkedIn
Career Advice

অনভিজ্ঞ বা ফ্রেশারদের জবের জন্য হাহাকার, অনুযোগ ও তার বিপরীতে বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা

image

একজন দায়বদ্ধ সোস্যাল এ্যানিমেল হিসেবে আমি প্রায়ই অনলাইনে (ফেসবুক/মেসেঞ্জার/লিংকডইন) চাকরীর বিজ্ঞাপন দিই, ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন লেখা লিখি। বিভিন্ন রকম পাঠক তো থাকেই। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ বিশেষত চাকরী প্রার্থী ফ্রেশাররা প্রায়ই অভিযোগ/অনুযোগ করেন, আমরা এমপ্লয়াররা/সিনিয়র প্রোফেশনালরা কেন ফ্রেশারদের জন্য কিছুই করি না, কেন আমরা এত এত জব ওপেনিং দিই যা শুধুই অভিজ্ঞদের জন্য? কেন আমরা খালি অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞতা করি? নতুনদের চান্স না দিলে তাদের অভিজ্ঞতা আসবে কী করে-ইত্যাদি। আমি প্রায় সবসময়ই এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হই। উত্তর দেবার, লজিক দেবার চেষ্টা করি।

এবার চিন্তুা করলাম, সবগুলো যুক্তিকে একত্র করে ফ্রেশারদের জন্য লিখি। মনে রাখবেন, লেখাটি শুধুমাত্র ফ্রেশারদের অনুযোগের উত্তর। এমপ্লয়ার বা সিনিয়র প্রোফেশনালদের দোষ আজকে বলব না। কারন সেগুলো আপনারা প্রচুর বলেছেন। তাই নতুন করে ওগুলোর আলোচনা করব না। আজ বলব, বিপরীত দিকটা। তাতে হয়তো তাদের চাকরীর বাজার প্রসারিত হবে না। কিন্তু তাদের ভুল ধারনা ভাঙবে, কিছুটা হলেও তাদের হতাশা ও উদ্বেগটা কমবে। এবং অবশ্যই নিয়োগদাতা ও নিয়োগপ্রার্থীদের মধ্যেকার দূরত্ব কিছুটা হলেও কমবে।

আসুন দেখি, কয়েকটি প্রশ্নের জবাব খুঁজি।

১.কেন এমপ্লয়াররা ফ্রেশারদের জব দিতে চান না?
উত্তর: অনেক কারন আছে ফ্রেশারদের জব দিতে না চাইবার পেছনে। যেমন:-

ক.আমি নিজে এর ভুক্তভোগী। চাকরী দিয়ে, শিখিয়ে পড়িয়ে যখন রেডি করি, তারা ১ দিনের নোটিশ দিয়ে চাকরী ছেড়ে চলে যান। আমার নিজের সাহায্য করা প্রায় সব ফ্রেশারের ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা এমন। গত মাসেই একজন ফ্রেশার যিনি ৯ মাস জব করেছেন, তিনি এইচআরে গিয়ে বলেছেন, তার বাবা মুমূর্ষূ অবস্থা। দ্রুত ইন্ডিয়া নিতে হবে। তিনি কাল হতে আর আসবেন না। কোম্পানী তাকে ১ মাস চিকিৎসা করে জয়েন করতে বলল। তিনি তাও পারবেন না। অগত্যা তাকে ছেড়ে দেয়া হল। ৩ দিন পরে জানা গেল, সব ভুয়া। তিনি আরেকটা কোম্পানীতে মাত্র ৫ হাজার টাকা বেশি বেতনের জন্য এই নাটক করেছেন। আপনি বলবেন, আপনি এমন করবেন না। কিন্তু বিগত ৫ বছরের অভিজ্ঞতা একই। তাহলে কীভাবে এমপ্লয়ার আস্থা রাখবেন নতুন করে?

খ.অতিরিক্ত আশা। ফ্রেশার যদি এই আক্রার বাজারে ২৫ হাজার টাকা স্টার্টিং স্যালারি আর প্রথম দুই বছরে স্যালারী রেঞ্জ ৮০ হাজারে যেতে হবে-দাবী করেন, কী করতে পারি? সব চাক্ষুস অভিজ্ঞতা বলছি।

গ.একজন এমপ্লয়ার এরপরেও সাহস করে, সামাজিক দায়বদ্ধতা হতে ফ্রেশার নিয়োগ করলেন। প্রার্থী ১ বছর পরেই কাজ শিখে এসে সেই এমপ্লয়ারকে যখন বলেন, আমাকে অমুক প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজারে অফার করেছে। আমাকে ৫০ হাজার স্যালারী না দিলে থাকব না-তখন স্বাভাবিকভাবেই ফ্রেশার নিয়োগে উৎসাহ হারাবেন নিয়োগদাতা। আপনি বলবেন, সবাই এক না। একের দোষে অন্যরা কেন ভুগবে? এখন নিয়োগদাতা তো আপনার মনের স্ক্যান করে দেখতে পারবেন না। আর এই কু অভ্যাসটি যখন মাত্রাছাড়া পরিমানে হয়, তখন সেটাকেই তো ট্রেন্ড হিসেবে দেখা হবে-তাই না?

ঘ.আমি নিজে দেখেছি, মাসের বেতন পেয়ে কোনোরকম রিজাইন না দিয়ে ফ্রেশার এন্ট্রি চাকরীজীবিরা অন্য জবে জয়েন করতে। আপনি বলবেন, আপনারা এমন কিছু নিশ্চই করেন যে জন্য তারা চলে যেতে বাধ্য হয়। তো ভাই, আপনি সবরকম কথাই যদি নিজের ফেভারে চান, তবে কী করে হবে? যত অসুবিধা হোক, আপনি রিজাইন দিয়ে যেতে পারবেন না-এমন গজব কি নাজিল হয়েছে দেশে?

ঙ.সবচেয়ে মারাত্মক কারন হল, যোগ্যতা। বিগত প্রায় ৭/৮ বছর ধরে দেশের শিক্ষার মান ভয়ানক রকমভাবে রসাতলে গেছে। শিক্ষার মূল লক্ষ্য (মানুষকে মানুষ করা) তো বহু আগেই মারা গেছে। বাকি ছিল অন্তত একাডেমিক শিক্ষা হতে অন্তত কলম পিষে খাবার মতো মানুষ সৃষ্টি করা (কোনো রকম মানবিক গুন না থাকলেও চলত)। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আর সেটাও পারছে না বা করছে না। একাডেমিক পরীক্ষা পাশ করে বের হয়ে তারা সামান্য কলম ধরার মতো অবস্থায়ও নেই। (অবশ্যই সবাই না। মেধাবী মানুষ এখনো আছে।) আমি বলছি, জেনারেল সিচুয়েশনের কথা। আমার একাধিক লেখায় আমি উদাহরনসহ বলেছি, কী ভয়ঙ্কর অযোগ্য লোকজন আমাদের কাছে আসছে ইন্টারভিউতে আর আমরা লোকের ক্রাইসিসে ভুগছি। চাকরী নিয়ে ঘুরছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না। সেগুলো আর রিপিট করছি না। সুতরাং, এখন যারা ফ্রেশার হিসেবে বের হচ্ছেন, তাদের প্রতি ইন জেনারেল, এমপ্লয়ারদের এলার্জি, অনাগ্রহ তো স্বাভাবিক, তাই না?

তাই বলে, ফ্রেশার জব কি হচ্ছে না দেশে?

সবার আগে আপনি আপনার ভুল ধারনা হতে বাইরে বেরিয়ে আসুন। “ফ্রেশারদের জব দিই না” বা ”দেয় না” এটি খুব বায়াসড ও একপেশে একটি মিথ্যা। লজিক ‍দিয়ে বোঝাই। প্রতিবছর দেশে নতুন করে প্রায় ৭ লক্ষ গ্রাজুয়েট চাকরীর বাজারে প্রবেশ করে। সরকারী চাকরী বছরে গড়ে সৃষ্টি হয় ২ থেকে ৩ হাজার (আনুমানিক)। তাহলে বাকি ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার গ্রাজুয়েট বেসরকারী চাকরীর উমেদার হয়(খুব সামান্য কিছু ছেলেমেয়ে বিদেশে পাড়ি জমায় বা নিজের ব্যবসা শুরু করে)। তো ধরে নিলাম, দেশের কোনো নিয়োগকর্তা একজন ফ্রেশারকেও জব দেয় না। তাহলে প্রতিবছর দেশে ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার বেকার সৃষ্টি হত। আর তাতে করে বেকারের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে কয়েক কোটি হয়ে যেত না, আর সেটা দিনকে দিন বিশাল হত না? কিন্তু জানেন কি, দেশে গ্রাজুয়েট বেকার ২৬ লক্ষ। তার মানে গড়ে ৪ বছরের গ্রাজুয়েট ফ্রেশারের মোট সংখ্যার সমান দেশে বেকার আছে। তাহলে স্বাধীনতার পর হতে বিগত ৪৬ বছরে বা অন্তত বিগত ২০ বছরের মধ্যে মাত্র ৪ বছরের সৃষ্ট গ্রাজুয়েটদের বেকার থাকার হিসাব মিলল। বাকি ১৬ বছরের গ্রাজুয়েটরা তবে কোথায় গেল? তারাও যদি বেকার থাকত, তাহলেই তো দেশে বেকারের সংখ্যা দাড়াত ১৬ বছরে ৭ লক্ষ = ১ কোটি ৩২ লাখ। তা না হয়ে সেটা কেন ২৬ লক্ষ আছে? আছে, কারন ফ্রেশারদের জব হচ্ছে। সবাই বেকার থাকছে না। তার মানে ফ্রেশারদেরও জব হচ্ছে। হয়তো সবার নয়, তবে হচ্ছে।

ফ্রেশারদের জব কেন হচ্ছে না? কেন আমাদের অধিকাংশ বিজ্ঞাপনে আমরা অভিজ্ঞ লোক চাই? কেন নতুনদের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ আমরা দিতে পারি না?

আপনাকে মানতেই হবে, যেকারনেই হোক, দেশে চাকরীর বাজারের মার্জিনাল গ্রোথতো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন আনুপাতিক হারে সংকুচিত হচ্ছে। এবং আমার ও আরো অনেক প্রাজ্ঞ ক্যারিয়ার এ্যানালাইজারদের ধারনা, সেটা আরো সংকুচিত হয়ে যাবে। তো এমন বাস্তবতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নতুন জব কম সৃষ্টি হচ্ছে। এর একটি ডোমিনো ইফেক্ট হচ্ছে জব মার্কেটে। নতুন জব সৃষ্টি হচ্ছে না> পুরোনোরা জব ছাড়ছেন কম >পজিশন খালি হচ্ছে কম। তারপরে আবার যেগুলো খালি হচ্ছে তার বেশিরভাগই সিনিয়র টেকনিক্যাল পজিশনে। ফলে ওই খালি হওয়া পজিশনে ফ্রেশারদের নেয়া সম্ভব হয় না।
২.আপনারা যদি একটু মন দিয়ে খেয়াল করেন, দেখবেন, জব সার্কুলারগুলোতে বিজ্ঞাপিত পদগুলোর একটা বড় অংশই সিনিয়র পজিশনের। কোনো কোনোটি টেকনিক্যাল ও ডিসিশন মেকিং লেভেলের। প্রায়ই ফ্রেশাররা এবং তাদের সহানুভবরা বলেন, নতুন লোককে একটু শিখিয়ে নিলেই তো তারা সব কাজ করতে পারে। এটি খুব খেলো একটি কথা হয়ে গেল না? ৫ বছর জব করে একজন মানুষ যেই দক্ষতা অর্জন করেন, তিনি সেই জব ছাড়লে যেই ভ্যাকান্ট পজিশন তৈরী হয়, সেখানে একজন ফ্রেশার নিয়ে তাকে ৩ মাসে সেই সমান দক্ষ করে তোলা সম্ভব? 
৩.যেমন ধরুন, আমি প্রায়ই বিজ্ঞাপন দেখি, জিএম-ওয়াশ-গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে। আবেদন করেন ফ্রেশার। আপনি কি জানেন, একজন সুদক্ষ এমনকি অর্ধদক্ষ ওয়াশ টেকনিশিয়ান তৈরীতে ঠিক কতটা সময়, শ্রম, নিবেদন, এনার্জি দিতে হয়? সব কাজই কয়েক দিনে শিখিয়ে নিলে করতে পারবে- এই ভুল ধারনা কীভাবে হল আমাদের? জাস্ট ভাবুন তো, একটি ওয়াশ প্ল্যান্ট কিংবা একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের সুপার টেকনিক্যাল জব কি একজন ফ্রেশারের হাতে দিয়ে দিতে পারবে একজন মালিক?

আরেকটা লজিক বলি, দেশের বাজারে ২৬ লক্ষ গ্রাজুয়েট বেকার, মোট বেকার কিন্তু আরো বেশি (৪ কোটি ২০ লক্ষ)। ধরে নিলাম, এই ২৬ লক্ষ বেকারের সবাই ফ্রেশার। এক গার্মেন্টস সেক্টরেই কর্মীর ঘাটতি ১০ লক্ষ। অথচ কেউ গার্মেন্টসে যাবে না। বিদেশে গিয়ে থালাবাসন ধোবে, তবু দেশে মেশিন চালাবে না। তাদের একটাই কথা, লেখাপড়া শিখেছি কি শ্রমিক হতে? আরে ভাই, গরীব দেশে বাবুগীরি জব কোথা হতে আসবে? আর এই আমরাই তো আমেরিকায় ডিভিতে গিয়ে থালাবাসন মাজি। ভাবতে পারেন, আমাদের ২৬ লক্ষ গ্রাজুয়েট হতে ১০ লক্ষ যদি গার্মেন্টসের ঘাটতি শ্রমিকের যায়গাটা নিত, কী পরিবর্তন এসে যেত সেক্টরটা তে? ভাবুন একবার? যেই পরিবেশ খারাপের অভিযোগে আমরা গার্মেন্টসে যাই না, আমরা সাহস করে গেলে সেক্টরটাই বদলে যেত। আমরা সবাই খুঁজি, বানিয়ে দেয়া বাগান, মরুর বুকে বাগান করে নিতে কেউ চাই না।

আরে ভাই, বেকার থাকার চেয়েও কি গার্মেন্টসের চাকরী খারাপ?

ফ্রেশার বেকাররা আমাকে বলেন, যেকোনো জব দিন, করব। আমি একবার পিয়নের জন্য দু’দিন লোক খুঁজলাম-১৫,০০০ বেতন। কেউ রাজি না। একবার একটা চমৎকার কোম্পানীর মার্কেটিং বিভাগের জন্য ফ্রেশার খুঁজলাম-বেতন ২০,০০০। ৩ জন আবেদন করেছে।

ফ্রেশারদের জব না হবার বা না দেবার আরো কিছু কারন বলি-
১.টেবিল চেয়ার এসি রুম কেন্দ্রীক জব করার প্রবণতা
২.শুরুতেই বিরাট স্যালারীর প্রত্যাশা
৩.ট্রেনিং শেষ হলেই অন্যত্র জব নিয়ে চলে যাওয়া। মালিকের ইনভেস্টমেন্টকে কোনো প্রতিদান না দিয়ে।
৪.যোগ্যতা না বাড়িয়ে শুধু শুধু জব মার্কেটে ভীড় করা।
৫.জব মার্কেটের সাথে সামঞ্জস্যহীন বা গতানুগতিক বিষয়ে গ্রাজুয়েশন করে চাকরীর বাজারে জব খোঁজা। আপনি মনে করুন, পড়াশোনা করেছেন, বিশ্ব ঐতিহ্য নিয়ে। বাংলাদেশের মতো গরীব দেশে ওই বিষয়ের চাকরী কয়টা সৃষ্টি হবে বছরে? সারাদেশে সবাই বিবিএ গ্রাজুয়েট। তার আবার মানের অবস্থা ভয়াবহ। তো, কখনো হিসাব করেছেন? বছরে কতজন বিবিএ হোল্ডারদের জব সৃষ্টি হয়? আপনি ভুল সাবজেক্টে পড়াশোনা করলে তার দায় তো ব্যবসায়ীদের না। আর ধরেন, দেশে চাকরী আছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের। সেখানে কি আমি একজন জনপ্রশাসনে গ্রাজুয়েট কে নেব?

তাহলে উপায়? উপায় আছে বলেই তো ফ্রেশারদের জব হচ্ছে। সবাই তো তা নাহলে বেকার থাকত।

হচ্ছে বলেই বেকারের সংখ্যা ৭ লক্ষ করে বাড়ছে না। আমরা কীভাবে ম্যানেজ করি জানেন, আমরা তবুও প্রতিবছর কিছু ফ্রেশার নিই। ফ্রেশারদের নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকার পরও, আমার প্রতিষ্ঠানে নানা কারনেই প্রতিবছর গড়ে ২০-৩০ জন নিই। তাদেরকে বিভিন্ন বিভাগে পুলের/কোটার বাইরে নিয়োগ দিই। তারপর তারা রেডি হয়ে গেলে তাদের বিভিন্ন জুনিয়র পজিশনে কাজে লাগাই। কখনো কখনো এমনও করি, একটি সিনিয়র পোস্ট খালি হলে ভিতর হতে একজন জুনিয়রকে সেই পজিশনে দিই। তারপর একজন ফ্রেশার নিয়ে সেই জুনিয়রের কাজ শিখতে লাগিয়ে দিই। ঠিক এই পদ্ধতিতেই বেশিরভাগ ফ্রেশারদের ভাগ্য সচল থাকে। কিন্তু ভেবে দেখুন, এমন নিবিড় ম্যানেজমেন্ট করা নিশ্চই খুব সহজ কাজ না। আর পুলের অতিরিক্ত লোক প্রতিপালনের ক্ষমতা ও লজিস্টিকস কয়টি প্রতিষ্ঠানের আছে? তাছাড়া, ফ্রেশার নিয়ে তাকে শেখানোর মতো সক্ষমতাই বা কয়টা প্রতিষ্ঠানের থাকে? যেখানে তাকে প্রতিটি মানুষ হিসাব করে নিতে হয়? একজন ব্যস্ত কর্মী নিজের কাজের ফাঁকে কতটা সময় পাবেন নতুনকে শিখাতে? নিশ্চই এখন আবার বলবেন না, কেন আমরা প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে একটা করে ট্রেনিং সেন্টার রাখি না? ভাই, যারা ব্যবসা করতে নেমেছেন, তারাতো নিজের মতো করে ব্যবসাটা করবেন। আমাদের মতো করে সব করবেন কি?

আমার লেখাটি পড়ে আপনি হয়তো এখুনি কিছু প্রতিউত্তর দিতে বসে গেলেন? কিংবা কিছু রূঢ় উত্তর দিতে, মনে মনে গালি দিচ্ছেন কিংবা কমপক্ষে কিছু কমেন্ট করতে। তার আগে একই বিষয়ে আপনি আমার আরো কয়েকটি লেখা আগে পড়ে নিন। যেকোনো বিষয়ের আপেক্ষিক কিছু দিক থাকে। আর থাকে একজন লেখক/প্রোফেশনালকে দীর্ঘমেয়াদে বিচার করা। আমার লেখা ও কাজকে সার্বিকভাবে দেখুন। শুধু একটি লেখা পড়েই কোনো সিদ্ধান্তে চলে আসবেন না। আগে লেখাগুলোও পড়ুন। তারপর আমার পোস্টমর্টেম করুন। কোনো আপত্তি নেই।

[এটা কোনো একাডেমিক রিসার্চমূলক লেখা নয় বিধায় তথ্যগত বিভ্রাট থাকতে পারে।]

Collected From Jagojobs.bd



Related Posts

image

যে ৩ দক্ষতা জীবনে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনে

24/09/2024

Career Advice

কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে সাফল্য কেবল কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগের মাধ্যমেই আসে না, প্রয়োজন আরও বেশি কিছু। কিছু বেসিক স্কিল আমাদের জীবনযাত্রার মান এবং ব্যক্তিগত বিকাশকে উন্নত করতে পারে। এই প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো আয়ত্ত

image

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস আপনাকে সফল করবে

24/09/2024

Career Advice

সাফল্য একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং অবিচলিত প্রচেষ্টা। একবারে সবকিছু করার চেষ্টা করার পরিবর্তে, প্রতিদিন একটু একটু কাজ করলে তা আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। এটি আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে

image

৫ মাসে আপনার জীবন পরিবর্তন করবেন যেভাবে

24/08/2024

Career Advice

২০২৪ শেষ হতে আর মাত্র ৫ মাস বাকি আছে। আসলে ৫ মাসও নেই, আরও কম। আমাদের মধ্যে অনেকেই বছরের শেষে নিজেকে আরও ভালো অবস্থানে দেখতে চান নিশ্চয়ই? সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সবার আগে ঝেড়ে ফেলতে হবে হতাশা। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে