পড়ালেখা শেষ হতে না হতেই মাথায় চাকরির চিন্তা এসে পরে। কেননা জীবনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ করতে চাকরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চাকরির কথা ভাবলেই কি চাকরি হয়ে যায়! এরজন্য রয়েছে পূর্ব-প্রস্তুতি।
যে কোন চাকরি করতে গেলেই আগে ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হতে হয়। ইন্টারভিউ চাকরির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইন্টারভিউ ভালো হলে চাকরি হয়ে যায়, আর যদি ভালো না হয় তাহলে চাকরি অনিশ্চিত।
ইন্টারভিউয়ে প্রশ্নকর্তার প্রশ্নই বলে দিবে আপনার চাকরি হবে কি না। তবে কিছু কিছু লক্ষণ আছে দেখলেই বুঝা যাবে চাকরি অনিশ্চিত। সেগুলো জানিয়ে দেওয়া হলো-
১) খেয়াল রাখুন কতক্ষণ ধরে ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে? সেটা যদি খুব অল্পসময়ের জন্য হয় তাহলে বুঝতে হবে চাকরিটা অনিশ্চিত। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু নামধাম জিজ্ঞেস করে বিদায় করে দিবে।
২) যে পদের জন্য আপনি ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন, সে বিষয়ে কোন প্রশ্ন নিয়ে অলোচনাই করছে না, বরং অবান্তর কিছু প্রশ্ন করেছে? এর অর্থ হলো আপনার চাকরিটা হচ্ছে না। শুধু একটু সময় নষ্ট করে ছেড়ে দেবেন।
৩) পরপর প্রশ্ন করা হচ্ছে কি না, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি ঠিকঠাক প্রশ্ন আসে, তাহলে ঠিকই আছে। কিন্তু যদি একই প্রশ্ন পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে করতে থাকে তাহলে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বুঝে নিতে হবে। আপনাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা চলছে।
৪) আপনাকে যদি নেওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে যারা নিচ্ছেন তারা ইন্টারভিউয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন। আপনার চোখে চোখ রেখে কথা না বললে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে।
৫) খেয়াল রাখুন, যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তার ভাবভঙ্গি কেমন। তিনি যদি পেছনে গা এলিয়ে দেন, আপনার কথা শুনেও না শোনার ভান করেন, তাহলে বুঝে নিন যে আপনার চাকরিটা আর হচ্ছে না।
৬) প্রশ্নকর্তা যদি আপনার মঙ্গল কামনা করে তাহলে বুঝবেন সেটা মোটেও মঙ্গলের জন্য নয়। সামান্য কথা বলার পরেই আপনাকে ‘ধন্যবাদ’ দেওয়া হলো এবং আপনার সঙ্গে পরে যোগাযোগ করা হবে। আপনার মঙ্গল কামনা করছি।’ এই ধরনের কথা বলেলে বুঝবেন সেই যোগাযোগ আর হবে না।
৭) আপনি কেন প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে চান? ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান? এ ধরনের প্রশ্ন না করলে বুঝবেন ইন্টারভিউ ভালো হচ্ছে না।
৮) ইন্টারভিউ শেষে সাধারণত একটি হাসি বিনিময় হয়। ইন্টারভিউ ভালো হলে সেই হাসি হয় উজ্জ্বল। কিন্তু খারাপ হলে হাসি হয় সৌজন্যতার কিংবা বিদ্রুপের।
Collected from
ekushey-tv