১. নোটিশ বেরোলে পড়াশোনা করবো
কোনো চাকরির নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি বের হোক। তারপর চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনা শুরু করবো। অনেকেরই এমন চিন্তাভাবনা থাকে। যেটা চাকরির পরীক্ষা পাশ না করার বা চাকরি না পাওয়ার অন্যতম একটি কারন। তাহলে কি করতে হবে?
আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো চাকরির জন্য আগে থেকেই একটু একটু করে প্রস্তুতি নেবেন। এতে করে যখন চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হবে তখন আপনি অন্যান্যদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকবেন। এতে সহজেই যেকোনো চাকরির পরীক্ষা পাশ করতে পারবেন
২. নিয়মিত হয় এমন চাকরিগুলির প্রস্তুতি
রাজ্য সরকারের WBCS আর WBP ছাড়া অন্যান্য চাকরির নিয়োগ প্রতি বছর নিয়মিত হয় না। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের এমন অনেক চাকরি রয়েছে যেগুলিতে প্রতি বছর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
তাই যারা সরকারি চাকরি করবোই বলে ঠিক করেছে তাদের উচিত নিয়মিত প্রতি বছর হয় এমন কোনো রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের চাকরি গুলির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
৩ বাংলা ছাড়া ইংরেজি বা হিন্দি ভাষার জ্ঞান না থাকা
এখনকার সময়টা প্রতিযোগীতার সময়। রাজ্য সরকারের চাকরির হাল কেমন তা আলাদা করে বলার দরকার নেই। তাই এখন অনেকেই কেন্দ্র সরকারের চাকরির প্রতি বা বেসরকারি চাকরির প্রতি ঝুকছে।কেন্দ্র সরকারের কিছু কিছু চাকরির পরীক্ষা হিন্দি অথবা ইংরেজি ভাষায় হয়ে থাকে। তাই যদি কারো হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় বেসিক জ্ঞানও থাকে তাহলে একটু পরিশ্রম করেই চাকরি পেতে পারে। আর অনেকেই হিন্দি বা ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার মতো ভুল করে থাকে।
৪. ফর্ম ফিল আপ করবো কিন্তু পরীক্ষা দেবো না
এইবার যে ভুলটার কথা বলবো সেটি এখন অনেকেই করে থাকে। এই ভুল আমি নিজেও করেছি। অনেকেই চাকরির পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিল আপ তো করে, কিন্তু তারা পরীক্ষা দেয় না। এই ভুলটি হয়তো আপনিও করেছেন।
পরীক্ষা না দেওয়ার কারন, সঠিক প্রস্তুতি না থাকা। একটি কথা মাথায় রাখবেন। প্রস্তুতি না থাকলেও যেকোনো চাকরির পরীক্ষা দিলে আপনার যে অভিজ্ঞতা হবে তা কিন্তু কোনো ভাবেই বিফলে যাবে না
৫. টাইম টেবিলের সমস্যা
আমরা তো কোনো না কোনো সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিই ঠিকই। কিন্তু আমাদের অনেকেরই পড়াশোনার সঠিক টাইম টেবিল থাকে না।
যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় পাশ করা এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সঠিক এবং সহজে পালন করা যাবে এমন টাইম টেবিল থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। টাইম টেবিলটিকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে সেটি সবসময় চোখে পড়ে।
৬. যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক চাকরি নির্বাচন
প্রতি বছর রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের কোন কোন চাকরির পরীক্ষা হয় সেগুলি নির্বাচন করতে হবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ঐ সমস্ত চাকরিগুলিকে টার্গেট করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকবেন। অনেকেই এমনটা করে না। আপনার হয়তো এই কথাটা অবাস্তব মনে হতে পারে। কিন্তু যেকোনো চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার আগে ঐ চাকরিটি আমার জন্য উপযুক্ত কিনা তা নিজেকেই ভেবে দেখতে হবে। তা না শুধু শুধু পরীক্ষায় দেওয়া হবে।
৭. একই রকমের সিলেবাসের উপর জোর না দেওয়া
এমন সরকারি চাকরিগুলিকে টার্গেট করতে হবে যেগুলির পরীক্ষার সিলেবাস প্রায় একইরকম। এতে এক ঢিলে দুইটি নয়, বেশ কয়েকটি পাখি মারা যাবে। এর ফলে একই পড়াশোনাতে আপনি একের বেশি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারবেন।
অনেকেই একটি চাকরির জন্য একটি সিলেবাস নিয়েই পড়াশোনা করে। আবার পরে অন্য কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হলে ঐ পরীক্ষার সিলেবাসের উপর জোর দেয়। এইভাবে বছরে একাধিকবার কয়েক ধরনের সিলেবাস নিয়ে পড়াশোনা করা হয়ে যায়।
এমনটা না করে কয়েকটি চাকরির পরীক্ষাকে টার্গেট করে সমস্ত সিলেবাসগুলির মধ্যে মিল খুজে একসাথে প্রস্তুতি নিতে হবে।
৮. বিষয়ের জ্ঞান থাকা
প্রায় সমস্ত চাকরির পরীক্ষাতে গণিত, রিজনিং, জেনারেল নলেজ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকেই। তাই এই বিষয় গুলি নিয়ম করে শিখতে, পড়তে এবং আপডেট রাখতে হবে।
এখন বিভিন্ন ভালো ভালো বই ছাড়াও ইউটিউবের মাধ্যমে খুব সহজেই এই বিষয়গুলি আয়ত্ব করা যায়।
৯. বিগত বছরের প্রশ্নপত্র
যেকোনো চাকরি পরীক্ষার জন্য বিগত বছরের (Previous Year) প্রশ্নপত্র বিশেষ গুরুত্বপুর্ন। তাই আপনি আপনার পছন্দের বা বেছে নেওয়া চাকরির পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলি প্র্যাকটিস করতে পারেন।
১০. নিয়মিত মক টেস্ট না দেওয়া
পরীক্ষার সিলেবাস সম্পূর্ন হলে অনেকেই শুধুমাত্র রিভাইজ দিতে ব্যাস্ত থাকে। রিভাইজ দেওয়া খুবই দরকার। কিন্তু সেইসাথে নিয়মিত মকটেস্টও দিতে হবে। এতে চাকরি পরীক্ষার আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে আপনি যেকোনো চাকরির পরীক্ষা খুব সহজেই পাশ করতে পারবেন।
collected from kajkarmo