করোনা মহামারির ধাক্কায় চলতি বছরে সারা বিশ্বে বেকার লোকের সংখ্যা বাড়বে। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে ১৮ কোটি ৬০ লাখ বেকার ছিল। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটি ৭০ লাখে। করোনার ধাক্কায় দুই বছরের ব্যবধানে সারা বিশ্বে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ বেকার বাড়বে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০২২ সালের ‘ওয়ার্ল্ড এমপয়মেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল আউটলুক’ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
জি কে সাদিক : লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়ায় চড়ে সে’ কথাটা ছোট সময় মায়ের কাছ থেকে অনেক শুনেছি। কথাটা সত্যও ছিল, তবে এখন দেখছি যে, পড়ালেখা করে যে পেরেশানিতে ভোগে সে। গত ১০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতে বাংলোদেশের বেকারত্বে হার নিয়ে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। সে প্রতিবেদন এমনটাই বলে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যেন বেকারত্বে কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ বুধবার ( ৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৪ সাল থেকে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কোর উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর এ দিবসটি উদযাপিত হয়।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো- ‘The transformation of education begins with teachers.’ অর্থাৎ ‘ শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষার রূপান্তর শুরু।’
শিক্ষক দিবস-২০২২ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আপনারা জানেন ইতোমধ্যে গত দুই দিন আগে আমরা একটি পর্যালোচনা সভা করেছি যে- এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেল, সে পরীক্ষায় কোথায়, কোন জায়গায় ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে কিনা এবং কীভাবে আমরা সেটাকে মোকাবেলা করেছি এসব পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেন সারাদেশে আমাদের আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমি সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে হলে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে শিক্ষকদের সমৃদ্ধ হতে হবে। একারণেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তৈরি হওয়ার জায়গায় শিক্ষকের বেতনভাতা যতটুকু বাড়বে, তার তুলনায় গবেষণায়, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ, প্রতিজন শিক্ষকের প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ল্যাপটপ থেকে শুরু করে আধুনিক ক্লাসরুম, বিজ্ঞান ল্যাবসহ সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি। কিন্তু আর কিছু না হোক- প্রতিজন শিক্ষকের হাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। একজন শিক্ষক পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে তখনই গড়ে উঠবে, যখন জ্ঞানের এই সকল উপকরণ তার হাতের মুঠোয় থাকবে।’