দেবলা রানীর সফলতার কাহিনী
16/11/2022
1036 Views
সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের পূর্ব তেতুলিয়া গ্রামের এক দরিদ্র মহিলা দেবলা রানী ঘোষ, স্বামী অনিল মন্ডল। যার ২ শতক বসত ভিটার জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। কোন রকম দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেবলা রাণী অতিরিক্ত আয়ের সন্ধান করতে থাকে। লোকমুখে তিনি বিআরডিবি’র “দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পের” কথা জানতে পারেন। পরে প্রকল্পের কর্মকর্তার পরামর্শে ২০১৪ সালে ১৮ জন সদস্যের একটি দল গঠন করেন এবং প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী সকল সদস্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে দেবলা রানী প্রথম পর্যায়ে ১০,০০০/- টাকা ঋণ গ্রহন করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাকড়া চাষ শুরু করেন। কাকড়া চাষ ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় প্রথম বছর তার পরিবারের যাবতীয় খরচ বাদে বছরে ৪৮,০০০/- টাকা লাভ হয়। তিনি এই টাকা দ্বারা নিয়মিত সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা পরিশোধ করে পুনরায় ২০১৫ সালে ১৫,০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এই টাকা এবং পূর্বের লাভের টাকা দিয়ে কাকড়া চাষের আরও প্রসার ঘটান। বর্তমানে তার মাসিক আয় ৬০০০/- হতে ৭০০০/- টাকা এবং বছর শেষে মূলধন গঠন হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। কাকড়া চাষে দেবলা রানীর সফলতা দেখে সমিতির অন্যান্য সদস্যরাও কাকড়া চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রকল্প থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন।
বর্তমানে দেবলা রানীর সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তিনি বাড়ীতে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করেছেন। বাড়ীর চারপাশে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপন করেছেন। স্বামী সন্তানদের নিয়ে দেবলা রানী এখন সুখে শান্তিতে দিন যাপন করছেন। বিআরডিবি’র প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তার ফলে তার পরিবার আজ সুখী। তাই তিনি বিআরডিবি’র নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
Collected from brdb