Facebook Youtube Twitter LinkedIn
Job Life

চাকরি নিয়ে জাপানে যেতে চাইলে

image

তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে বসেই চাকরি নিয়ে যাঁরা জাপানে যেতে চান, তাঁদের জন্য সুখবর। বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ট্রেনিং প্রোগ্রাম (বি-জেট) এ সুযোগ করে দিয়েছে। আপনার যদি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি বা আইসিটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকে, তাহলে আপনিও এই প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। এ প্রোগ্রামের অধীন ১১তম ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বি-জেট সম্পর্কে
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সি (জাইকা) যৌথভাবে ২০১৭ সালে বি-জেট প্রোগ্রাম চালু করে। ‘জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’-এর অধীন এ প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচ পর্যন্ত অর্থায়ন করেছে জাইকা। বর্তমানে অর্থায়ন করছে জাপানের মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো প্রোগ্রাম তত্ত্বাবধান করছে বিসিসি।
‘জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’-এর পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি নিয়ে জাপানে যাচ্ছেন, তাঁরা বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়েও কাজ করছেন। কারণ, তাঁদের কর্মদক্ষতা ভালো হলে জাপান আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী হবে। এখন পর্যন্ত যাঁরা জাপানে গেছেন, তাঁদের সুনাম ভালো। আশা করছি, সামনের বছরগুলোতে জাপানে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা বাড়বে।’
আবেদনের যোগ্যতা
এই প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি বা আইসিটি বিষয়ে স্নাতক পাস হতে হবে। প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং বিষয়ে দুই বছর বা তার বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জাপানি ভাষা শেখার প্রবল আগ্রহ থাকতে হবে। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে জাপানে চাকরি করার মানসিকতাও থাকা চাই।
ভর্তিপ্রক্রিয়া
সাধারণত বছরে দুবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বছরের শুরুতে জানুয়ারি ও জুলাই মাসে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বি-জেটের ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে থাকে। এক ব্যাচে ৪০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। প্রার্থীদের আবেদন পাওয়ার পর সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। পরীক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ভর্তির জন্য কোনো ফি দিতে হয় না। শুধু লেখাপড়ার উপকরণ খরচ বাবদ এককালীন ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়।
যেভাবে আবেদন
১১তম ব্যাচে ভর্তির জন্য ১ জুলাই থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। অনলাইনে এই লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে। ১১তম ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে ১০ অক্টোবর। শেষ হবে আগামী বছরের ১০ মার্চ।
যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ
পাঁচ মাসের প্রশিক্ষণের মধ্যে প্রাথমিকভাবে অনলাইনে প্রশিক্ষণ হবে। তবে তিন সপ্তাহের জন্য সশরীর ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-জেট সেন্টারে সশরীর ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের পাশাপাশি জাপানি ভাষা ও জাপানের করপোরেট কালচার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জাপানি ভাষার এন-৪ লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হয়। জাপানের আইটি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে চাকরির ভাইভায় কীভাবে কথা বলতে হবে, সেটিও শেখানো হয়। এ ছাড়া জাপানে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বি-জেট প্রোগ্রামের অপারেশন ম্যানেজার উজ্জ্বল কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, এই প্রোগ্রামের প্রধান লক্ষ্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ও জাপানে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া। এখানে বাংলাদেশি আইসিটি ইঞ্জিনিয়ারদের জাপানের ভাষা, করপোরেট কালচার, আইসিটি ও জাপানের কালচারের ওপর সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জাপানে কর্মরত মুহায়মিন হোসেন
জাপানে কর্মরত মুহায়মিন হোসেনছবি: সংগৃহীত
চাকরি নিয়ে জাপানে
গত মার্চে ৯ম ব্যাচের ক্লাস শেষ হয়। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে ৯ম ব্যাচের ৪০ জনের মধ্যে ১৭ জন চাকরি নিয়ে জাপানে গেছেন। তাঁরা বর্তমানে জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রোগ্রামটি চালুর পর এখন পর্যন্ত মোট ২০৬ জন প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি নিয়ে জাপানে গেছেন। উজ্জ্বল কুমার সাহা বলেন, বি-জেট গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে অনেকে জাপানের নামকরা সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে জাপানে চাকরির হার ৭০ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে এই হার ৯৮ শতাংশ।
জাপানে বাংলাদেশিদের চাহিদা বাড়ছে
জাপানের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান বিজনেস আর্কিটেক্ট ইনকরপোরেশনে প্রায় দুই বছর ধরে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন মো. মুহায়মিন হোসেন। বি-জেট প্রোগ্রামে ষষ্ঠ ব্যাচে প্রশিক্ষণ শেষ করে জাপানি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান তিনি।
মুহায়মিন হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বাংলাদেশে বসে কাজ করেছি। করোনা কমে গেলে গত এপ্রিলে জাপানে আসি। এখানে প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশিদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রতিনিয়ত সেই চাহিদা বাড়ছে। কারণ, এখানে যেসব বাংলাদেশি চাকরি করেন, তাঁদের সুনাম বেশ ভালো।
মুহায়মিন হোসেন আরও বলেন, জাপানে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ব্যক্তিদের বেতন-ভাতা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এখানে বসবাসের খরচ কম। তাই তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ব্যক্তিদের ভালো গন্তব্য জাপান। আর এখানকার মানুষেরাও অনেক আন্তরিক।
মুহায়মিন হোসেন জানান, যাঁরা জাপানে আসতে চান, তাঁদের অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে আসতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি জাপানি ভাষাটা জানাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে বি-জেট প্রোগ্রাম হতে পারে দারুণ সহায়ক। এখানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়ই অনেক জাপানি প্রতিষ্ঠান চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার নিতে আসে। তাই চাকরি পাওয়াটা অনেক সহজ হয়।
Collected from prothomalo


Related Posts

image

সহকর্মী ঈর্ষা করে? জেনে নিন কী করবেন

24/09/2024

Job Life

অফিস তো কেবল কাজ করার জায়গাই নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি বড় পরিসরও। তাইতো অফিসকে বলা হয় ‘দ্বিতীয় পরিবার’। আপনার কর্মক্ষেত্রে যদি কাজ করার ইতিবাচক পরিবেশ থাকে তবে অফিস কর্তৃপক্ষ ও আপনি উভয়েই সমৃদ্ধ

image

Is your workplace really built for innovation?

24/08/2024

Job Life

Organizations that succeed are those that constantly improve themselves and their offerings. But don’t expect the few people at the top to be responsible for all the interesting new thinking in the organization.

image

What’s the plan to get the most out of employees?

24/08/2024

Job Life

Before you know it, you will be in the New Year Scramble. Tax season, big initiatives, exciting improvements in the works, and the goals list goes on.