বিসিএস প্রিলির জন্য বিশেষ পরামর্শ
30/09/2022
1191 Views
সেখানে তিনি এমন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যেগুলো সামনের বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : শাহ মো. সজীব ৩৪তম বিসিএসে (প্রশাসন) দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিশ্চয়ই আপনি আনন্দিত। এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কী?
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিনটি ছিল ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টা। কারণ এ সময় আমার বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এদিনে আমি যতটা না খুশি তার চেয়ে বেশি খুশি আমার পিতামাতা ও আমার বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আমার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। আর সে কারণেই তিনি চেয়েছিল আমাকেও সরকারি কর্মকর্তা বানাবেন। সুতরাং আজ আমার অনুভূতির সবটুকুর প্রাপ্য আমার বাবা।
প্রশ্ন : আপনি কখন থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
আমি মূলত পঞ্চম শ্রেণী থেকেই বিসিএসের স্বপ্ন দেখি। কারণ আমার মামা ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট আর বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। তারা চাইতেন আমিও যেন তাদের মতো হই। এজন্য আমি ছোটবেলা থেকেই বেশি বেশি পাঠ্যবই অধ্যয়ন করতাম। যার কারণে আমার বেসিক খুব মজবুত ছিল। আর আমি বিসিএসের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেই অনার্স তৃতীয় বর্ষ থেকে।
প্রশ্ন : ৩৬(৪১) তম বিসিএস প্রিলিমিনারিদের জন্য আপনার বিশেষ কী কী পরামর্শ রয়েছে?
এ পরামর্শের ব্যাপারে আমি বলব, এখন থেকে আর সময় অপচয় না করে রুটিন মাফিক বিষয়ভিত্তিক নিয়মিত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করা দরকার। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে চাই, আপনি নিজেকে সময় দিন।
মাত্র কয়েক মাসের জন্য সামাজিক, পারিবারিকসহ অন্য কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কারণ কয়েক মাসের ওপর নির্ভর করছে আপনার জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি কুধারণা প্রায়ই দেখা যায়, যে বিষয়ে কম পারে সে বিষয় কম পড়ে। এ ধরনের অভ্যাস বদলাতে হবে। কারণ এটি বিসিএস দেশের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রথমে আসা যাক সাধারণ জ্ঞান, এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকার বিকল্প নেই।
Collection From karukormo.blog