অন্যকে অনুপ্রেরণা দেবেন যেভাবে
24/09/2024
331 Views
আপনার দেওয়া একটুখানি অনুপ্রেরণা কারো দিনটাই সুন্দর করে দিতে পারে। কষ্টের দিনে আপনার বলা সামান্য দু’টি কথা কারও পুরো জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে। আমাদের বন্ধু, পরিবার, সঙ্গী বা এমনকী অপরিচিত কেউ তার আচরণের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। তারা আগামীকালের জন্য আমাদের আশা দিতে পারে। কখনো কখনো ছোট্ট একটি বাক্যও দিনটি সহজ ও সুন্দর করে দিতে পারে। অন্যকে কীভাবে অনুপ্রেরণা দেবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. একটু অন্যভাবে
কাগজের টুকরোতে আপনার প্রিয় উদ্ধৃতি লিখুন, একাধিক কপি তৈরি করুন এবং দেয়াল বা ল্যাম্পপোস্টের গায়ে সাঁটিয়ে দিন। এভাবেই অপরিচিতদের জন্য একজন বেনামী শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন। আপনার একটি উক্তি অন্য কারো জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
২. আপনার সন্তানদের অনুপ্রাণিত করুন
আপনার সন্তানদের প্রশংসা করুন, তাদের জানান যে আপনি তাদের ভালোবাসেন এবং তাদের জন্য গর্বিত। তাদের বলুন যে আপনি প্রতিদিন তাদের মা বা বাবা বলে ডাক শুনে নিজেকে কতটা ভাগ্যবান বোধ করেন। তাদের অনুপ্রাণিত করুন এবং মনে করিয়ে দিন যে সব সুন্দর স্বপ্ন সত্যি হবে। এভাবে ইতিবাচক কথা আপনার সন্তানকে তার লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে সহজেই।
৩. মোটিভেশনাল স্পিচ
আপনি যদি একজন বস হন তবে আপনি একটি মোটিভেশনাল স্পিচ দিতে পারেন। আপনার কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে নিজের সফলতার গল্প, এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম তাদের সঙ্গেও ভাগ করতে পারেন। দলকে অনুপ্রাণিত করতে একজন অতিথি বক্তাকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারেন, যার কথা মানুষ আগ্রহ নিয়ে শোনে।
৪. জার্নালিং
নিজেকে অনুপ্রেরণা জোগানো সমান গুরুত্বপূর্ণ। জার্নালিং এই অভ্যাসে অনেকটাই সাহায্য করে। নিজের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করতে দিনে মাত্র ১০ মিনিট সময় বের করুন। এটি আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। আপনার কৃতিত্বের প্রতিফলন করুন এবং দেখুন কতদূর এসেছেন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে জীবনে কতটা পরিবর্তন এসেছে।
৫. স্বীকৃতি
আমরা হয়তো অন্যদের প্রশংসা করি তবে কারও আন্তরিক প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া তার জন্য অনুপ্রেরণার একটি দুর্দান্ত উৎস হতে পারে। কখনো কখনো এর প্রভাব প্রশংসার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হতে পারে। তাই ভালো কাজের স্বীকৃতি দিতে দেরি করবেন না।
৬. অন্যদের সাফল্য উদযাপন
অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় বা বাড়িতেই হোক না কেন, একে অপরের সাফল্য উদযাপন করুন। একে অপরের কৃতিত্ব স্বীকার করা জীবনের মানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ছোট্ট কাজটি জীবনে বড় সফলতা বয়ে আনে।