Facebook Youtube Twitter LinkedIn
Job Life

অফিসে স্মার্ট কর্মী হবেন যেভাবে

image

কর্মক্ষেত্রে সব কর্মী সমান হন না। একই পদে থেকেও কেউ হন স্মার্ট আর কেউ ধীরগতির। তবে স্মার্ট হওয়ার বিষয়টি চাকরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করে কর্মীর পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা। নিজের দক্ষতা ও কর্ম উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে কাজকে অযথা কঠিন না করে সহজ করার মাধ্যমে একজন কর্মী স্মার্ট হয়ে উঠতে পারেন।
স্মার্ট কর্মী হওয়ার ১০টি উপায়
১. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ
দিনের শুরুতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাছাই করতে হবে। এরপর সেই কাজের ওপর ফোকাস করে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাছাইয়ের জন্য আইসেনহাওয়ার ম্যাট্রিক্স কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ আছে।
২. লক্ষ্য নির্ধারণ
কাজ শুরুর আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তবে এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, তা যেন অর্জন করা যায়। অবাস্তব লক্ষ্য কর্মক্ষেত্রে এগোতে দেবে না। বড় বড় কাজ একসঙ্গে না ধরে ভেঙে ছোট ছোট আকারে সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে কাজে বিরক্তি আসবে না।
৩. সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল
সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল জানতে হবে। পোমোডোরো টেকনিকটা বেশ ভালো। এই কৌশলে অল্প সময়ের নির্দিষ্ট বিরতিতে কাজের কথা বলা হয়। এতে কাজের গতি বাড়ে, উৎপাদনশীলতাও বাড়ে।
৪. সফটওয়্যার ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় কাজ
যে কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটিক করা যায়, তা শনাক্ত করা জানতে হবে। এতে কিছু সময় বাঁচবে। এই সময়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও নিজের সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দেওয়া যাবে, যা দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
৫. প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, নোট নেওয়া ও গ্রামার চেকিংয়ের কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। এতে কাজ অনেক গোছানো হবে। আর গুছিয়ে কাজ করলে তা কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতেও সহায়তা করে।
৬. একসঙ্গে অনেক কাজ এড়িয়ে চলুন
একসঙ্গে অনেক কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। গুরুত্ব বিবেচনায় কাজ করতে হবে। এতে ওই কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায়। একসঙ্গে অনেক কাজ হাতে নিলে তাতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়।
৭. কার্যকর প্রতিনিধি বাছাই
একা একা সব কাজ করার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। সম্ভব হলে কার্যকর প্রতিনিধির কাছে কাজ ভাগ করে দিতে হবে। এতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় পাওয়া যাবে।
৮. বিরতি নিতে হবে
কর্মক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য নিয়মিত বিরতি নিতে হবে। এতে মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। মেজাজ ফুরফুরে থাকলে লক্ষ্য পূরণ সহজ হয় এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এ ছাড়া শারীরিক ও মানসিক চাপও অনেকটা কমে।
৯. ইতিবাচক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি
কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আরামদায়ক ফার্নিচার ও পর্যাপ্ত আলো এই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এতে মনমানসিকতা ঠিক থাকে এবং কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
১০. শিখতে হবে
শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। এতে নতুন নতুন দক্ষতা বাড়বে।
Collected From prothomalo


Related Posts

image

সহকর্মী ঈর্ষা করে? জেনে নিন কী করবেন

24/09/2024

Job Life

অফিস তো কেবল কাজ করার জায়গাই নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি বড় পরিসরও। তাইতো অফিসকে বলা হয় ‘দ্বিতীয় পরিবার’। আপনার কর্মক্ষেত্রে যদি কাজ করার ইতিবাচক পরিবেশ থাকে তবে অফিস কর্তৃপক্ষ ও আপনি উভয়েই সমৃদ্ধ

image

Is your workplace really built for innovation?

24/08/2024

Job Life

Organizations that succeed are those that constantly improve themselves and their offerings. But don’t expect the few people at the top to be responsible for all the interesting new thinking in the organization.

image

What’s the plan to get the most out of employees?

24/08/2024

Job Life

Before you know it, you will be in the New Year Scramble. Tax season, big initiatives, exciting improvements in the works, and the goals list goes on.