যে কারণে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া উচিত নয়
06/03/2024
534 Views
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন সেলিব্রিটি হিসাবে প্রভাবশালীদের উত্থান অনেকেরই মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। যদিও ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার সম্ভাবনা লোভনীয় হতে পারে, তবে এটি স্বীকার করা অপরিহার্য যে, এই ক্যারিয়ারের পথ সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের জগতে প্রবেশ করার আগে সতর্কভাবে চিন্তা করার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া উচিত নয়-
১. প্রাইভেসি কনসার্ন
বিশ্বব্যাপী দর্শক ও শ্রোতাদের সঙ্গে আপনার জীবনের ব্যক্তিগত দিকগুলো ভাগ করার বিষয়টি একটি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। যারা নিজের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দেন বা স্বাভাবিকভাবে ইন্ট্রোভার্ট, তাদের জন্য ক্রমাগত এক্সপোজার অস্বস্তি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হতে চাইলে আগে এই বিষয়ে খেয়াল করুন।
২. সমালোচনার প্রতি ভয়
অনলাইন বিশ্বে প্রতিনিয়ত সমালোচনার ঝড় বইতে পারে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হতে চান, তবে এই সমালোচনার ভয়কে জয় করতে হবে। আর যদি অন্যদের সমালোচনাকে ভয় করে চলেন তবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার না হওয়াই উত্তম। পাবলিক স্ক্রুটিনি, নেতিবাচক মন্তব্য এবং সম্ভাব্য সাইবার বুলিং-এর সঙ্গে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি থাকলেই কেবল এই পথে পা বাড়াতে পারেন। অবশ্য এগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই মানসিক সুস্থতা ও স্বস্তির জন্য এর থেকে দূরে থাকাই আপনার জন্য উত্তম হবে।
৩. আয়ের নিশ্চয়তা না থাকা
যদিও সফল সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা যথেষ্ট উপার্জন করতে পারেন, তবে এই পেশার আর্থিক স্থিতিশীলতা নেই। কোলাবরেশন, ব্র্যান্ড পার্টনারশীপ এবং ফলোয়ার এনগেজমেন্টের ওপর এর আয় নির্ভর করে। তাই সব সময় যে একইরকম আয় হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এক্ষেত্রে বিকল্প আয়েরও ব্যবস্থা রাখতে হয়। তাই আপনার যদি এক্ষেত্রে যথেষ্ট মনোবল থাকে, তবেই আগ্রহী হতে পারেন।
৫. কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য অবিরত চাপ
প্রাণবন্ত অনলাইন উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। নিয়মিতভাবে আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চাপ ইনফ্লুয়েন্সার এবং তার ফলোয়ার উভয়কেই প্রভাবিত করে। এতে বিষয়বস্তুর গুণমান নষ্ট হতে পারে। অনেক সময় না চাইলেও মানহীন কন্টেন্ট তৈরি করতে হতে পারে। তাই সবার পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া সম্ভব হয় না।
৫. তুলনা এবং প্রতিযোগিতা
সোশ্যাল মিডিয়া সহজাতভাবে তুলনার পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে ইনফ্লুয়েন্সাররা বেশিরভাগ সময়েই অন্যদের সঙ্গে নিজের সাফল্যের তুলনা করে থাকেন। এই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ মানসিক সুস্থতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি না চাইতেও ঈর্ষা কিংবা হিংসার মতো বিষয়গুলোতে জড়িয়ে যেতে পারেন। আপনার ওপর ভর করতে পারে হতাশা। তাই এদিকটাও ভেবে দেখুন।
Collected From Daily dhakapost