প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ রয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কারিগরি পলিটেকনিক্যাল কলেজে ৭০ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণে একাডেমিক-ব্যবহারিক ক্লাসের সময় কমিয়ে পড়ানো হচ্ছে। কোনোভাবে সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হচ্ছে। ফলে দিন দিন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মান কমছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে যাবে। কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো কমে যাবে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইইডিবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইইডিবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, চলতি বছরের জুন থেকে স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু হবে। ‘দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১০ সালে চালু হয়ে জুন ২০২২-এ সমাপ্ত হয়। প্রকল্পটি দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ঝরে পড়া রোধ, যথাসময়ে শিক্ষাচক্র সমাপ্তকরণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ বিষয়ে “ইন হাউস” প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের তত্ত্বাবধানে নিজ প্রতিষ্ঠানে “ইন হাউস” প্রশিক্ষণ আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১-এর আলোকে প্রণীত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী প্রাথমিক এবতেদায়ী স্তরের শিক্ষকদের অধিকতর দক্ষ করতে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম মুক্তপাঠে প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।