Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
কানাডার বাজারে কর্মিশূন্যতা ১০ লাখ ছাড়িয়ে

চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের জন্য বিদেশীদের কাছে কানাডার নাম সামনের দিকেই থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির চাকরির বাজার আগের তুলনায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বাড়ছে বিদেশীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগও।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, দেশটিতে ১০ লাখের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। ২০২১ সালের মে থেকে এ সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।
মে মাসের একটি সমীক্ষার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, উত্তর আমেরিকার দেশটির কিছু শিল্পে শ্রমের ঘাটতি ও অভিবাসনের চাহিদা বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে বর্তমান কর্মীদের বয়স ও অবসরে প্রবেশকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
বেকারত্ব কম ও চাকরির সুযোগ প্রচুর—অবধারিতভাবে এমন সময়ে অভিবাসীদের জন্য পথ খুলে যায়। সিআইসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কানাডা ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক স্থায়ী বাসিন্দাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। চলতি বছরে ৪ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসী গ্রহণ করতে চায় কানাডা। ২০২৪ সালে সাড়ে চার লাখ অভিবাসী গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা উত্তর আমেরিকার দেশটির। সামগ্রিকভাবে এখন কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার আবেদনের জন্য চমত্কার একটি সময়।
আরেকটি সমীক্ষা জানায়, কিছু রাজ্যে কর্মী অনুপাতে আগের তুলনায় চাকরির সুযোগ বেশি। আলবার্টা ও অন্টারিওতে এপ্রিলে প্রতি শূন্যপদের বিপরীতে বেকারত্ব ছিল ১ দশমিক ১ জন, যা মার্চে ছিল ১ দশমিক ২ ও এক বছর আগে ২ দশমিক ৪ জন। অন্যদিকে এপ্রিলে নিউ ফাউন্ডল্যান্ড ও লাব্রাডরে প্রতি শূন্যপদের বিপরীতে বেকার ছিল চারজন।
পেশাজীবী, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সেবা, পরিবহন ও গুদামজাতকরণ, অর্থ ও বীমা, অবসর ও বিনোদন এবং আবাসন খাতে রেকর্ড সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে।
গত মে মাসে নোভা স্কশিয়া ও মানিটোবায় বাসস্থান ও খাদ্য পরিষেবা খাতে ১ লাখ ৬১ হাজার পদ খালি ছিল, যা মোট শূন্যপদের ১০ শতাংশ। আবাসন ও খাদ্য পরিষেবা খাতে টানা ১৩ মাস সর্বোচ্চসংখ্যক পদ খালি রয়েছে।
সিআইসি নিউজ বলছে, বেবি বুমারস নামে পরিচিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী (১৯৪৬-৬৪) প্রজন্ম এ দশকে অবসরে যাচ্ছে। তাদের সংখ্যা ৯০ লাখ।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, এক-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান তাড়াতাড়ি অবসরে যাচ্ছে। প্রতি ১০ জনে তিনজন অবসরের কাছাকাছি থাকলেও মহামারীর কারণে বিলম্ব হচ্ছে।
শুধু কর্মীদের অনাগ্রহ বা অবসরের হার চাকরির বাজারে শূন্যপদ বাড়ার কারণ নয়। কানাডার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এর ওপর ব্যাপক ফেলছে। যেমন ২০২০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল রেকর্ড সর্বনিম্ন, নারীপ্রতি ১ দশমিক ৪ জন শিশু। এর হার বাড়তে থাকলে সামনে দেশটি আরো অধিকসংখ্যক অভিবাসী নেবে।
Collected from
bonikbarta.