Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
সহকারী জজ নিয়োগের আবেদন শেষ কাল, প্রিলিমিনারি ১৮ মার্চ

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পথ সহকারী জজ নিয়োগের জন্য ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (১৬ শ বিজেএস) পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন নেওয়া হবে। তবে বিধি অনুযায়ী পদের সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। যাঁরা এখনো আবেদন করেননি, তাঁরা দ্রুত আবেদন করতে পারেন। কারণ, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবেদন করার শেষ সময়। আবেদনকারী প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা
সহকারী জজ পদে আবেদনের জন্য কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিন বছর মেয়াদি স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে পরীক্ষা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখে বা এর আগে শেষ হতে হবে।
প্রার্থীর জাতীয়তা
প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। প্রার্থী যদি এমন কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন অথবা বিয়ে করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তাহলে তিনি আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
যেভাবে আবেদন
প্রার্থীকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কমিশনের নির্ধারিত বিজেএসসি ফরম পূরণ করে অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এরপর আবেদন ফি জমা দিতে হবে। সফলভাবে আবেদন জমা হওয়ার পর টেলিটক নম্বর থেকে পরীক্ষা ফি বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
সব প্রার্থীকে প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রাথমিক পরীক্ষায় (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা) অংশগ্রহণ করতে হবে। এ পরীক্ষায় মোট ১০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি এমসিকিউয়ের মান ১ নম্বর। তবে প্রতিটি এমসিকিউয়ের ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক্–যোগ্যতা হিসেবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রাথমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। প্রাথমিক পরীক্ষায় সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও আইন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর প্রার্থীর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হবে না।
লিখিত পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০০ নম্বরের। যেসব পরীক্ষার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, শুধু তাঁরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন। কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ নম্বরের কম পেলে তিনি লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন।
মৌখিক পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০।
পরীক্ষার সময়সূচি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কেন্দ্র এবং বিস্তারিত সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইটে ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। সঠিকভাবে আবেদন করার পর প্রার্থীরা ইউজার আইডি ব্যবহার করে ১৪ মার্চ থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
Collected from prothomalo