বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগ ইউজিসির
দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও দলিলাদি ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইউজিসি। বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) ডাটা সেন্টারের ক্লাউড স্টোরেজ সেবা ব্যবহার করে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের এসব তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও যেকোনো স্থান থেকে সহজেই অনুসন্ধান করা যাবে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিডিরেন ডাটা সেন্টারের ক্লাউড স্টোরেজ সেবার ব্যবহার বিধি বিষয়ে এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এ কথা বলেন। বিডিরেন ট্রাস্টের সহযোগিতায় ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিত।
প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, তথ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নথি ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও উন্নত হবে। সময়োপযোগী ইউজিসির এই উদ্যোগ সরকারের কাগজবিহীন অফিস প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, কাগজবিহীন অফিস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে কাগজের ব্যবহার কমে যাবে। ফলে বৃক্ষ নিধন কমবে, কমবে কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে। দাপ্তরিক তথ্য ও দলিলাদি ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশ একধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা ও সেবা পদ্ধতি আধুনিকায়নে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, দেশের ১৬০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও দলিলাদি ম্যানুয়ালি সংরক্ষণ ও অনুসন্ধান করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এছাড়া, এসব তথ্য ও দলিলাদি ম্যানুয়ালি সংরক্ষণের জন্য স্থান সংকুলান না হওয়ায় তা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুগের চাহিদা বিবেচনা করে ক্লাউড স্টোরেজ সেবার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ সহজে সম্পাদন করা যাবে হবে এবং সরকারের ব্যয়ও কম হবে।
সভায় জানানো হয়, ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কারিকুলাম ও পত্র, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের গঠন সংক্রান্ত দলিলাদি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প প্রস্তাব, ভর্তি ও পাসকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ, বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ, গবেষণার তথ্য সংরক্ষণ, বার্ষিক প্রতিবেদন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন সংরক্ষণ, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও বিওটির সভার কার্যবিবরণীসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ সহজ হবে।
ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
Collected from dhakapost