নিরাপত্তা ঘাটতি পূরণ না করলে বন্ধ হবে ১৭ কারখানা
তিন মাসের মধ্যে নিরাপত্তা ঘাটতি পূরণ না করলে ১৭টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সালমান ফজলুর রহমান এ তথ্য জানান।
কমিটির সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, আজ আমাদের জাতীয় কমিটির দ্বিতীয় সভা হয়েছে। এতে আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি। সেখানে আমাদের যে স্কোরিং হয়েছে, সে অনুসারে ১৭টি কারখানা ২৫ নম্বর কম পেয়েছে। তাদের নোটিশ দিয়ে দিচ্ছি, তিন মাসের মধ্যে তাদের কমপ্লাইন্ট দিতে হবে, যদি না দিতে পারে তাহলে তাদের বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ইস্যুতে আরও বিভিন্ন কারখানাকে নোটিশ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তাদের অবস্থা এতই নাজুক যে, যদি এর বেশি সময় দেই তাহলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অঘটন যাতে না ঘটে, সে কারণে তাদের এ সময় দেওয়া হয়েছে। তারা যদি উন্নয়ন করে, ঘাটতি দূর করে, আমরা পরিদর্শন করে যদি সেটা দেখতে পাই, তখন তাদের আরও সময় দেব।
এছাড়াও ২০৬টি কারখানা ৫০ মার্ক কম পেয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
সালমান এফ রহমান বলেন, তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ছয় মাস সময় দেওয়া হবে। এরমধ্যে সফল না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাকি যতগুলো আছে, সবাইকে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। তাদের এক বছরের মধ্যে কমপ্লাইন্ট দিতে হবে।
তিনি বলেন, মনে করেন- আমরা একটি প্ল্যান (পরিকল্পনা) পাস করে দিয়েছি, কিন্তু যখন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়, তখন তাতে সেই প্ল্যান অনুসরণ করা হয়েছে কি না; সেটা দেখার জন্য বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি হবে। এতে ভবনের অনুমোদনের পাশাপাশি, তার ইনসপেকশনও ঠিকঠাক মতো হবে। রাজউক কিন্তু প্ল্যানের অনুমোদন দেয়, কিন্তু সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ কেমন হবে, অবকাঠামো কেমন হবে; সেটা কিন্তু দেখা হচ্ছে না। কাজেই যখন বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি বাস্তবায়ন হবে, তখন সবকিছু সেই আইন অনুসারে ঠিক করা হবে। এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করতে বলেছি।
Collected from dhakapost