Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
বেসরকারি চাকরিজীবীদের কথাও ভাবুন

বেসরকারি চাকরিজীবীরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত ও বঞ্চিত। অন্যদিকে দফায় দফায় বেড়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের সুবিধা। কিছু সুবিধার কথা তুলে ধরছি। গত নয় বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।
২০০৯ সালে সরকারি চাকরির ন্যূনতম বেতন ছিল বেসিক ২৪০০ টাকা। বর্তমানে তা হয়েছে ৮২০০ টাকা। আগে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি ছিল একদিন। এখন তা দুই দিন।
গাড়ি কেনার জন্য আগে বরাদ্দ থাকত না। এখন বরাদ্দ রয়েছে ৩০ লাখ টাকা। বাড়ি কেনার জন্য আগে ঋণের ব্যবস্থা ছিল না। এখন রয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। পেনশন আগে ছিল ৮০ পার্সেন্ট। এখন ৯০ পার্সেন্ট। আগে বৈশাখী ভাতা ছিল না। এখন রয়েছে মূল বেতনের ২০ শতাংশ। আগে সামান্যই পদোন্নতি হতো। এখন ব্যাপকভাবে হচ্ছে।
মোবাইল কেনার জন্য ২০০৯ সালে বরাদ্দ ছিল ১৫,০০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৫,০০০ টাকা (১ম গ্রেডের জন্য)। এছাড়া এখন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে সরকারের অনুমতির দরকার হয়, আগে যা লাগত না। আরও অনেক সুবিধা বাড়ানোর কাজ চলমান আছে।
অন্যদিকে যারা বেসরকারি চাকরি করছেন, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। যুগোপযোগী সুবিধা তো দূরের কথা, অধিকাংশ কোম্পানিতে এইচআর নীতিমালা নেই। যে যেমন ইচ্ছা বেতন দেয়।
অল্পকিছু কোম্পানি, যার ৯০ ভাগই বিদেশি, তারা কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখে। দেশি এফএমসিজি কোম্পানিগুলোতে যাচ্ছেতাই অবস্থা। ঈদ ছাড়া বন্ধ নেই। সারা বছর কাজ করায় তারা।
মানুষ নয়, তাদের কাছে সেলসের লোককে মেশিন মনে হয়। অনেক কোম্পানিতেই বেতন নিয়মিত নয়। প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই, বীমা সুবিধা নেই। যখন-তখন চাকরি চলে যায়, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয় না।
এসব দেখার যেন কেউ নেই। স্যুট-টাই পরা ভদ্রলোক দেখে মনে হয় কতই না সুখী; কিন্তু বেসরকারি এই চাকরিজীবীদের মনে কত যে দুঃখ, কত যে না পাওয়ার কষ্ট, তার খবর আমরা কেউ জানি না। তাদের বেতন থেকে সরকার ট্যাক্স কেটে রাখে। অথচ তাদের কথা ভাবা হয় না।
বেসরকারি চাকরিজীবীরা রেভেনিউ জেনারেট করে, তবে সুবিধা ভোগ করে অন্যরা। সরকারের কাছে আবেদন, একটা বোর্ড গঠন করা হোক। তারা কোম্পানিগুলো ভিজিট করুক। কর্মকর্তাদের ন্যায্য সুবিধা-অসুবিধা দেখুক। সরকার তো সবার।

Collection From jugantor