Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
চাকরি নিয়ে যত ভাবনা

পড়াশোনার পাট চুকিয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করার মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে। জীবনের সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য এই চাকরির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। অনেকে নানা সমস্যার কারণে এখনকার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেন। তবে অধিকাংশ সময় এসব সিদ্ধান্ত আবেগের বশে নেওয়া হয়। ভেবেচিন্তে নেওয়া হয় না।

তাই চাকরি ঠিক কখন ছাড়বেন তা ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত। আপনাকে প্রথমে কয়েকটি পূর্বলক্ষণ বুঝতে হবে। কি সেই পূর্বলক্ষণ? সেগুলো একটু দেখে নিন।
যাতায়াতের সমস্যা
বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াতের পথ দুঃসাধ্য হলে আপনার সিংহভাগ শক্তিই যাত্রাপথে খরচ করতে হবে। গণপরিবহনে যাতায়াতের ফলে শারীরিক ও মানসিক চাপও ভয়াবহ হতে পারে। অনেক সময় দূরত্ব বেশি হলে এবং সুযোগ সুবিধা কম থাকলে অফিসেও দেরি হয়ে যায়। তবে অধিকাংশ অফিসে বিকল্প শিফট থাকলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। এমন কিছু না থাকলে চাকরি ছাড়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন। কিন্তু অন্য জায়গায় চাকরি ও নিজের অবস্থার কথা বিবেচনা করে নিবেন আগে।
আপনার দক্ষতার সঙ্গে বেমানান
আপনার দক্ষতার সঙ্গে বেমানান কাজ আপনাকে বেশিদিন টিকে থাকতে দেবে না। হয়তো বাধ্য হয়ে কোথাও চাকরিতে ঢুকে গেলেন। কিন্তু চাকরি করার সময় যদি আপনার দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য তৈরি না হয় তাহলে কিন্তু বিপদ। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনি হাঁপিয়ে উঠবেন। এমন হলে অন্য চাকরির কথা ভাবতে পারেন।
অফিসে কলিগদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে
অফিসে বস কিংবা কলিগদের দুর্ব্যবহার যদি মানসিকভাবে আপনায় বিপর্যস্ত করে তোলে তখন চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে পারেন। এ নিয়ে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। অনেকে বলেন সম্পর্ক ভালো করতে পারলে ভালো। আমরাও বলছি আপনি চেষ্টা করুন সব স্বাভাবিক করার। কিন্তু না পারলে আপনার উচিত অন্য কোথাও যাওয়ার। সব জায়গায় মানিয়ে নেওয়া সম্ভব না।
অফিসের কালচার ভাল না হলে
অফিসে যদি মনোমালিন্য লেগেই থাকে তাহলে সেই অফিসের পরিবেশ ভালো থাকে না। তোষামোদি পরিবেশ যদি আপনার বিকাশ ও এগিয়ে যাওয়ার পথে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়ায় তবে চাকরি বদলের চিন্তা করাই শ্রেয়।
বেতন বৈষম্য
চাকরি ছাড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বেতন কাঠামোকে ভেবে দেখতে পারেন। অন্য জায়গায় যদি ভালো বেতন ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যান তাহলে এক জায়গায় আটকে থেকে আর লাভ কি।
Collected from ittefaq