IT থেকে ই-কমার্স - এখনই বেশি দেবে না চাকরি, লক্ষ্যে খরচে রাশ টানা
বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রায় সব সংস্থাই খরচে রাশ টানতে চাইছে। আইটি, বিপিও-র মতো সেক্টরগুলিতে কোনও সংস্থার বিনিয়োগের একটি বড় অংশ কর্মীরা। ফলে সেখানেই আপাতত কাটছাঁটের চেষ্টা চলছে। বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দার আবহের জন্য নিয়োগ কমাচ্ছে বড় সংস্থাগুলি।
অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আরও কমল নিয়োগের সম্ভাবনা। এমনিতেই অক্টোবরে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগের সংখ্যা ১৮% হ্রাস পেয়েছিল। এই প্রবণতা চলতি নভেম্বর ও আগামী ডিসেম্বরেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এর কারণ কী?
বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রায় সব সংস্থাই খরচে রাশ টানতে চাইছে। আইটি, বিপিও-র মতো সেক্টরগুলিতে কোনও সংস্থার বিনিয়োগের একটি বড় অংশ কর্মীরা। ফলে সেখানেই আপাতত কাটছাঁটের চেষ্টা চলছে। বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দার আবহের জন্য নিয়োগ কমাচ্ছে বড় সংস্থাগুলি। শুধু তাই নয়, মেটা, অ্যামাজন, টুইটারের মতো প্রথম সারির সংস্থাগুলি বিপুল হারে কর্মী ছাঁটাই করছে।
বিভিন্ন নিয়োগ সংস্থা থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাসের মাধ্যমে নিচের এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ঠিক কতটা নিয়োগ হ্রাস পেতে পারে। গত ২ বছরে বাজার কাঁপানো আইটি সার্ভিস, স্টার্টআপ ও প্রোডাক্ট সেক্টরে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫৮% নিয়োগ কমানো হয়েছে।
এর পিছনে আরও একটি বিষয় ব্যাখা করা হচ্ছে। তাতে বলা হচ্ছে যে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মহামারী এসেছিল। সেই সময়ে হঠাত্ই বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির চাহিদা বেড়ে যায়। সকলে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই এই বাজার ধরতে দ্রুত হারে কর্মী নিয়োগ করতে শুরু করে সংস্থাগুলি। আইটি, বিপিও, স্টার্টআপের ক্ষেত্রে তুমুল হারে নিয়োগ শুরু হয়। বহু ফ্রেশারই একসঙ্গে ৩-৪টি চাকরির অফার পাচ্ছিলেন। আরও পড়ুন: Zomato Lay-offs: প্রায় ৩% কর্মীকে ছাঁটাই করছে জোমাটো
তবে এখন কিছুটা হলেও সেই রাশ স্তিমিত। ফলে সেই বিপুল হারে নিয়োগের তুলনায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। সেই কারণে পরিসংখ্যানে এতটা বেশি পরিবর্তন বলে মনে হচ্ছে।
২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়টা ভাল গিয়েছে ভারতীয় স্টার্টআপ সেক্টরের। বহু সংস্থাই এই সময় পর্যন্ত বিশ্ব বাজার থেকে বিপুল বিনিয়োগ তুলেছে। এর ফলে বহু সংস্থার 'ভ্যালুয়েশন' বেড়ে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মূলধনের কারণে বহু কর্মীও নিয়োগ করেতে পেরেছে তারা। ২০২০-২১-এ ডিজিটালাইজেশনের সময়ে ভালো ব্যবসাও করেছে সংস্থাগুলি। কিন্তু সেটি কমতেই কমে গিয়েছে কর্মীর চাহিদা।
ই-কমার্সের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন কেনাকাটা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দোকান-বাজার যাতায়াতে সমস্যার কারণে অনেক বেশি মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করছিলেন। তাছাড়া এটি নিয়ে আরও একটি তত্ত্ব খাড়া করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের সিনেমা হলে যাওয়া, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, শপিং করার মতো বিনোদনমূলক খরচ কমে গিয়েছিল। এর ফলে বিভিন্ন শখ, পোশাক, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে ই-কমার্সের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। আরও পড়ুন: কলকাতায় কগনিজ্যান্টের নতুন ঝাঁ চকচকে অফিস, উদ্বোধনে এলেন খোদ CEO
এদিকে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই আগের তুলনায় ই-কমার্সের পরিসংখ্যান হ্রাস পেয়েছে। তার ফলাফল হিসাবে কমেছে নিয়োগ।
Collected from hindustantimes