মন্দার আশঙ্কা ! বেতনবৃদ্ধি, নতুন চাকরির স্বপ্ন ভাঙছে, বলছে সমীক্ষা
বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই ছাঁটাই শুরু করে দিয়েছে। নতুন নিয়োগও নামমাত্র। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে মন্দার কোনও প্রভাব পড়বে না। তবুও আশঙ্কা যাচ্ছে না। চাকরির বাজার ক্রমশ যেন হিমঘরে ঢুকে যাচ্ছে। ফলে যাঁরা নতুন চাকরি খুঁজছেন তাঁরা পড়েছেন বিপাকে। প্রত্যাশা সঙ্গে আপোস করতে হচ্ছে অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীকেই। এই খবর জানিয়েছেন হিউম্যান রিসোর্স কনসালট্যান্টের প্রধান ও নিয়োগ কর্তারা।
মিন্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এইচআর পরামর্শদাতা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, আগে চাকরি পরিবর্তনের সময় প্রার্থীরা ৬০ থেকে ১০০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি করতেন। কিন্তু এখন সেই চাহিদা কমে ২০ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এর প্রধান কারণ, কর্মসংস্থানের বিকল্প কমে যাওয়া, নিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বর্তমান মন্দার আবহ।
অবস্থা আরও খারাপ হবে: ডেলয়েট ইন্ডিয়ার আনন্দরূপ ঘোষ বলেন, "চাকরি পরিবর্তনের সময় কিছু ক্ষেত্রে বেতন বৃদ্ধির দাবি ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত চলে যেত। কিন্তু এখন এটা গড়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। কিছু কোম্পানিতে এই হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বৃদ্ধির আশাও কমেছে। কারণ অনেক কোম্পানি, বিশেষ করে আইটি পরিষেবা, পণ্য এবং প্রযুক্তি স্টার্টআপগুলি গত বছরের তুলনায় ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত ৩ থেকে ৪ মাসে বাজারের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।"
বেদান্ত গ্রুপের ডেপুটি চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার প্রবীণ পুরোহিত বলেন, "উৎপাদন সেক্টরে চাকরি পরিবর্তনের সময় কয়েক কোয়ার্টারে বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেত, কিন্তু এখন এই হার প্রায় ৩০ শতাংশ। আগামী ত্রৈমাসিকগুলিতে এটা ২০ শতাংশে নেমে আসতে পারে। বাজার যতক্ষণ না স্থিতিশীল হবে এমনটা চলতে থাকবে।"
আইটি সেক্টরে নিয়োগ কমেছে: আইটি সেক্টরে নিয়োগ হচ্ছে কম। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের তথ্য অনুযায়ী, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড এবং এইচসিএল টেকনোলজিস লিমিটেডের রাজস্বের অংশ হিসাবে বেতন খরচ যথাক্রমে ৫৬.১ শতাংশ এবং ৫৪.৬ শতাংশে নেমে এসেছে- যা বেতন হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।
Collected from news18