দেশের এমএসএমই শিল্পের উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, কাইজেন প্রয়োগসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৫১টি এমএসএমইকে কারিগরি সহযোগিতা ও ২৬৭ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
বুধবার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অনলাইনে ‘এসএমই-তে উৎপাদনশীলতা’ কর্মশালার আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটির (এনপিও) মহাপরিচালক মুহাম্মদ মেসবাহুল আলম। সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মফিজুর রহমান।
উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে একটি সার্বজনীন কৌশল হচ্ছে কাইজেন। কাইজেন শব্দটি দুটি জাপানি শব্দ KAI (অর্থ-পরিবর্তন) এবং ZEN (অর্থ-ভালো) এর সংমিশ্রণে উৎপন্ন। অর্থ ভালোর জন্য পরিবর্তন। এটি এমন একটি অনুশীলন যা নূন্যতম ব্যয়ে যে কোনো কার্যক্রমের ধারাবাহিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের এমএসএমই শিল্পের উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, কাইজেন প্রয়োগসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৫১টি এমএসএমইকে কারিগরি সহযোগিতা এবং ২৬৭ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেয় এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই-তে কাইজেন কর্মসূচি ৮টি ধাপে বাস্তবায়িত হয়। এগুলো হচ্ছে-সচেতনতা উন্নয়ন কার্যক্রম, প্রতিষ্ঠান বাছাই ও নিশ্চিতকরণ, উৎপাদনশীলতা নিরীক্ষণ, কাইজেন পাইলট প্রকল্প প্রণয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ, চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম।
কর্মশালায় কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, চামড়া ও চামড়াজাত, ইলেকট্রনিক্স, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাতসহ প্রভৃতি শিল্পের উদ্যোক্তা, প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনসহ ৮৬ জন অংশ নেন।