ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সহকারী অধ্যাপক খুঁজে পাচ্ছে না। গত জুলাইয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে একটি স্থায়ী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদের বিপরীতে তিনটি আবেদন করেন আগ্রহী প্রার্থীরা। পূর্বনির্ধারিত সংশ্লিষ্ট পদের নিয়োগ বোর্ড ছিল গত ২৫ অক্টোবর। তিনজন আবেদন করে মাত্র দুজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে ভাইভা পর্বে কোরাম পূর্ণ হয়নি জানিয়ে নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সহকারী অধ্যাপক পদে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ন্যূনতম তিন বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল। অথবা এম.ফিল ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রভাষক হিসেবে ন্যূনতম দুই বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এ ছাড়া পিএইচ.ডি ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ন্যূনতম এক বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মানসম্পন্ন বই অথবা স্বীকৃত জার্নালে ন্যূনতম তিনটি প্রকাশনা থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছিল, শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৯.০০ থাকতে হবে। তবে সনাতন পদ্ধতির ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। তবে সনাতন পদ্ধতির ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। এমফিল বা পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণির শর্ত ছাড়া যেকোনো একটি শর্ত শিথিলযোগ্য।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে মাত্র তিনটি আবেদন আসার কারণ হলো শর্ত অনেক। এত শর্ত দিয়ে সহকারী অধ্যাপক পাওয়া যায় না। এটাও সত্য, যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় এই পদে নিয়োগ বোর্ড হয়নি। এ পদের জন্য যাঁরা আবেদনের যোগ্য, তাঁদের অনেকে অন্য কোথাও ভালো বেতনে চাকরি করছেন। তাই প্রত্যাশা অনুযায়ী আবেদন আসেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তিনজন প্রার্থী উপস্থিত না হলে নিয়োগ বোর্ড হয় না। সামনেও এ অবস্থা হলে বোর্ড হবে না। যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেই সব শর্তের লোক কম আছে। থাকলেও তাঁরা চাকরি করছেন।