অনার্স ও ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের জন্য ১২টি পিজিডি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা) কোর্স আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই চালু হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। এছাড়া দক্ষতাভিত্তিক শর্ট কোর্স ২০২৩ সালের মধ্যেই চালু হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সিনেট হলে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক (বিএনকিউএফ): অ্যাক্রেডিটেশন স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড ক্রাইটেরিয়া’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য মশিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা দক্ষতাভিত্তিক শর্ট কোর্স ও ১২টি পিজিডি কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে ভেতর থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আইসিটি, সফ্টস্কিল, অন্ট্রাপ্রেনারশিপসহ ১২টি দক্ষতাভিত্তিক পিজিডি কোর্স আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই চালু হবে। আর শর্ট কোর্স চালু হবে ২০২৩ সালে। এসব কোর্সের আওতায় যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা আসবে, তখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে শিক্ষকদের এসব কোর্স উপযোগী করে গড়ে তোলা, দক্ষ করে গড়ে তোলা। সে বিষয়ে আমরা এখনই উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রয়োজনে ব্লেন্ডেড প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের তৈরি করা হবে।’
উপাচার্য বলেন, ‘আগামী ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিতে নতুন কারিকুলাম, আউটকাম বেইজড শিক্ষা নিয়ে আসা হবে। আউটকাম বেইজড শিক্ষা চালু করা মানে পাশ্চাত্যকে অনুকরণ নয়। আমাদের দেশজ, প্রাচ্য অঞ্চলের যে শক্তি, আমাদের শিক্ষার যে নৈতিকতার শক্তি- সেটি পাশ্চাত্য থেকে অনেক বেশি কার্যকর এবং শক্তিশালী। সুতরাং, আমরা যেন নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অটুট রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিসিএস থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সারাদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু এই পর্যায়ে যেতে একজন শিক্ষার্থীকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যেতে হয়।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বের এডুকেশন এর সঙ্গে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সংযোগ ঘটাতে হবে। আমাদের লক্ষ লাইফ লং এডুকেশন নিশ্চিত করা। আমাদের কাজ উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নত করা। যে ডিগ্রি আমরা দিচ্ছি সেটি যেন বিশ্বে সমাদৃত হয়। এ জন্য কারিকুলাম উন্নয়ন জরুরি। আমরা পরিবর্তন চাই। সেটি করতে হলে কাজের কোনো বিকল্প নাই।
Collected from Banglatribune