বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিরত জাল সনদধারী ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষককে শনাক্ত করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ)। এসব শিক্ষকদের মধ্যে ৭৯৩ জনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, ২৯৬ জনের কম্পিউটার সনদ ও ৬৭ জনের বিএড-সাচিবিক বিদ্যাসহ অন্যান্য সনদ জাল বলে নিশ্চিত হয়েছে ডিআইএ।
জাল সনদধারী এসব শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরত নিতে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে ডিআইএ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযুক্তদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি থাকার ফলে মাসিক পে অর্ডেরে দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি বেতন-ভাতা পেয়েছেন। গত ৯ বছরে সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতা বাবদ এ পর্যন্ত নেওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধশত কোটি।
জাল সনদধারীদের মধ্যে ৭১৭ জন স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে, ৩৩৯ জন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
ডিআইএর প্রতিবেদন প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, যোগদানের তারিখ, এ পর্যন্ত নেওয়া টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।
কোন বিভাগে কত জন :
ডিআইএর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক আছেন ৪৪৩ জন। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজে কর্মরত ৩২৩ জন। মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে আছেন ১২০ জন। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন ৩৬৬ জন। তাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজে কর্মরত ২৫৬ জন, যাদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে। এ দুই বিভাগের মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন ১১০ জন, যারা ৪ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি টাকা জাল সনদে এমপিও বাবদ আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে জাল সনদে কর্মরত ৯৬ জন। যাদের মধ্য স্কুল কলেজে কর্মরত ৪৪ জন এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫২ জন। তাদের কাছ থেকে ৩ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি টাকা ফেরত নেয়ার সুপারিশ করেছে ডিআইএ।
Collected from kalerkantho