Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
ভোলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ


ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করলেও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। 

সাগরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের খবরে দ্বীপ জেলা ভোলার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬ শত জন (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভোলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম ও ভোলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু জানান, ভোলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। ভোলার সকল স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে ঝড় মোকাবিলায় ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে তাদের টিম।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে। এর ফলে জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সকল নৌকা ও ট্রলারগুলোতে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে
Collected from dhakapost