Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
সরকারি চাকরি করেও টাকার নেশায় সারাদিন ভিক্ষা করেন তিনি!

ভিক্ষুক ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভবঘুরেদের রাত্রি নিবাসে। কিন্তু সেখানে জানা গেলো ভিক্ষাবৃত্তি তার নেশা। তিনি সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী! তার মাসিক বেতন প্রায় ৬০ হাজার রুপি! স্ত্রীর দাবি, টাকা জমানোর নেশায় দীর্ঘদিন ভিক্ষা করছেন তার স্বামী। খবর আনন্দবাজারের।

বাড়িতে টাকা না দিলেও ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোটা অংকের টাকা রয়েছে তার। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া শহরের এ ঘটনা অনেককে মনে পড়িয়ে দিয়েছে আর্থার কোনান ডায়ালের লেখা শার্লক হোমস সিরিজ়ের ‘ম্যান উইথ দ্য টুইস্টেড লিপ’ গল্পটি। সে গল্পের এক অন্যতম প্রধান চরিত্র ভিক্ষুক সেজে বহু টাকা উপার্জন করেছিল।

কাঁচা-পাকা চুল। গালে খোঁচা দাড়ি। মুখে ময়লাযুক্ত মাস্কে। কনুই পর্যন্ত গোটানো কালো চিটে পড়া সাদা শার্ট। তার চেয়েও ময়লা, হাঁটু পর্যন্ত গোটানো প্যান্ট। সঙ্গে লাঠি আর নাইলনের ব্যাগ। তাতে রাখা এনামেলের বাটি, কিছু ময়লা, ছেঁড়া পোশাক। শুক্রবার গভীর রাতে বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বর থেকে ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া পুরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি নিবাস পরিচালনাকারী সংস্থার কর্মীরা।

প্রথমে ভিক্ষুক হিসেবে নিজের নাম-পরিচয় লেখান ওই ব্যক্তি। কিন্তু রোববার সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য জোরাজোরি শুরু করেন তিনি। রাত্রি নিবাসের কর্মীদের দাবি, তাদের কাছে স্বীকার করেন যে তিনি সরকারি হাসপাতালের কর্মী। তার নাম-পরিচয়ও আলাদা। হাসপাতালের কাজে যোগ দিতে চেয়ে তিনি আবেদন করায় মঙ্গলবার সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে পুরো ঘটনাটি পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছে ভবঘুরেদের ভবন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা।

ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা জানান, ছেঁড়া ও নোংরা পোশাক পরলেও হাসপাতালে নিয়মিত যান তিনি। এক সহকর্মী বলেন, আমরা তাকে স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে বহুদিন ভিক্ষা করতে দেখেছিন। নিষেধ করলে বলেন, চাকরি করলে ভিক্ষা করা যাবে না, এমন নিয়ম আছে না কি? ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তাই বহু চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি তার সঙ্গে।

তবে তার স্ত্রীর দাবি, বিয়ের পরেই জানতে পারি, টাকা জমানোর নেশাতেই চাকরির বাইরেও ভিক্ষা করেন স্বামী। শুনেছি, দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটিতে বছর ৪ বছর আগে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ছিল। এখন হয়তো কোটি টাকা হয়ে গেছে। তবে তিনি আমাকে কানাকড়িও দেন না। বাবার বাড়ির আর্থিক সাহায্যে কোনও মতে একমাত্র মেয়েকে মানুষ করছি।

Collected From Rtvonline