শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদশের কালো অধ্যায়ের শ্রমিক হত্যা, শ্রমিকদের অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার জন্য শ্রমিকদের জীবন দিতে হয়। তার জন্য দায়ী বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা। আমরা মালিকদের জিজ্ঞাস করতে চাই, রানা প্লাজায় কেন আমাদের ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক ভাই-বোনের জীবন দিতে হলো। তারা তো কাজ করতে এসেছিল। কিন্তু তারা আজকে নাই কেন? আমরা এই কথা জিজ্ঞাস করতে চাই বায়ারদের। তারাই তো রানা প্লাজায় অর্ডার দিয়েছিল। অর্ডার দেওয়ার আগে রানা প্লাজার বিল্ডিং নিরপাদ কি না, তা কেন দেখল না তারা?
বক্তারা আরো বলেন, আমরা জানতে চাই যে, মালিকদের অব্যবস্থাপনায় নিহত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিকের বিপরীতে সরকার কোন ব্যবস্থা নিয়েছে? রানা প্লাজার যে মালিক, তাকে কেন শ্রমিক হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো না তা আমরা জানতে চাই।
সরকারের কাছে দাবি জানায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস আমাদের দেশে অনেক বড় এক শিল্প। এখানে লাখ লাখ কর্মীরা কাজ করেন। তাদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মীদের সকল বকেয়া পাওনাসহ প্রত্যেক মাসের মজুরি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফা আক্তার, রফিকুল ইসলাম রফিক, নাসিমা আক্তার, মো. কবির হোসেন, মিসেস ইসরাত জাহান ইলা, মো. ফরিদুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ। এছড়া সংহতি বক্তব্য রাখেন একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।
Collected From jugantor