কোনো শিক্ষার্থীকে তাদের সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে আসতে হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহর আমরণ অনশন ভাঙাতে গিয়ে এ কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘আজ থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে আর রেজিস্ট্রার অফিসে আসতে হবে না। তাদের সব কাজের সেবা তাদের হল অফিস, বিভাগের অফিস, ইনস্টিটিউটের অফিস দেবে।’
প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করতে হবে। ডিসপ্লেতে অভিযোগের নাম, কক্ষ নম্বর ও সেখানে প্রদত্ত সেবার বিবরণী, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ও ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদর্শন করতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনেরও সংস্কার করতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক, পেশাদারিত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মানসিক সেবা প্রদানকারী বিভাগ ও সেন্টারগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে।
অফিস চলাকালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত থাকতে পারবেন না। সে নিরিখে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মঅফিস বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্লাবগুলোতে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালে প্রচার পরিবেশবান্ধব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হানিকর ও পরিবেশ বিপর্যয়কর পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
Collected from kalbela