Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
চাকরি হারানো নয়, অবসরই প্রধান সমস্যা কানাডার

অস্থিরতা বিরাজ করছে কানাডার শ্রমশক্তি খাতে। দেশটির এ খাতে মানুষের চাকরি হারানো নয়, বরং অবসর গ্রহণই প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে। তবে গত আগস্টে কানাডার শ্রমশক্তি খাত বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও এটি আগের দুই মাস ও গ্রীষ্মের তুলনায় কমেছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষ তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়ায় এমনটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি কানাডার স্ট্যাটস্ক্যান প্রকাশিত এক উপাত্তের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। উপাত্তে বলা হয়, প্রবীণদের অবসর গ্রহণই দেশটির শ্রমশক্তি খাত নিম্নমুখী হওয়ার প্রধান কারণ। পাশাপাশি ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষ তাদের অফিস যাওয়া বন্ধ করেছে। স্ট্যাটস্ক্যানের প্রকাশিত উপাত্তে বলা হয়, ৫৫-৬৪ বছর বয়সী রেকর্ডসংখ্যক কানাডীয় গত ১২ মাসে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
দেশটির অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কানাডার সর্বোচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীরা ব্যাপক হারে দেশত্যাগ করছে। এ কারণে দেশটির ব্যবসাগুলো ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ক্ষতি থেকে বেরিয়ে আসতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের মজুরি বাড়াচ্ছে। কিন্তু এর পরও ক্রমহ্রাসমান উৎপাদনশীলতা ধীরে ধীরে আরো নিম্নমুখী হচ্ছে।
ডেসজার্ডিনস গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ জিমি জিন বলেন, আমরা আগেই ইঙ্গিত পেয়েছিলাম কানাডার শ্রমশক্তি খাতে মানুষের চাকরি হারানো নয়, বরং অবসর গ্রহণই প্রধান সমস্যা হতে যাচ্ছে এবং আগামী কয়েক বছর দেশটির শ্রম খাতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, দেশটির কিছু ব্যবসা খাত এরই মধ্যে ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। দায়িত্ব নেয়ার মতো যথেষ্ট কর্মী না পেয়ে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে কভিড-১৯ মহামারীতে অনেক কানাডীয় চাকরিতে আরো বেশি সময় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ কারণে দেশটিতে মহামারী কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ার পরও ওই সময়ে প্রবীণ মানুষের অবসর কমে যায়।
কিন্তু এখন ভিন্ন রূপ দেখা মিলছে দেশটিতে। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় এ-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে দেশটির সরকার। আর এ সুযোগে অনেক কানাডীয় মহামারীর সময়টা পূরণ করতে এখন ভ্রমণকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গে আরো বেশি সময় ব্যয় করছেন।
উপাত্তে আরো বলা হয়, এসব কর্মীর প্রস্থানে শ্রম খাত সংকুচিত হচ্ছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সুদের হার বৃদ্ধি করছে। এ কারণে কানাডার অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কাও রয়েছে।
Collected from bonikbarta