Facebook Youtube Twitter LinkedIn
জাপানে চাকরিপ্রার্থীর তুলনায় শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ছে

তা সত্ত্বেও বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় পর্যাপ্ত কর্মী রাখার বিষয়ে সচেষ্ট থাকাতেই কর্মসংস্থানের বাজার দৃঢ় হয়েছে। খবর মাইনিচি।

আগের মাসের তুলনায় চলতি মাসে চাকরি আর প্রার্থীর অনুপাত দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বেড়ে ১২৯ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ অনুপাতের অর্থ এখন ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর জন্য ১২৯টি চাকরির সুযোগ রয়েছে।

চাকরির সুযোগের সংখ্যাটা আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। আর সেটা বেশি বেড়েছে বসবাস ও খাবারের সেবাসংক্রান্ত খাতে। এ সময়ে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে বলে নিশ্চিত করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আলাদা তথ্য বলছে, চলতি মাসে সামঞ্জস্য করা বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৬ শতাংশে রয়েছে, যেটা গত মে মাসের হিসাবে একই অবস্থানে রয়েছে।

সামঞ্জস্য করা তথ্য হিসাবে মোট বেকারত্বের সংখ্যা আগের মাসের ১৭ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ দশমিক ২ শতাংশ বা ৪০ হাজার জন কমেছে বলে উল্লেখ করেছে অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৫০ হাজার জন নিজের ইচ্ছানুযায়ী চাকরি ছেড়ে দিয়েছে যেটা আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। সেখানে ৪ লাখ ৩০ হাজার জনকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়, যেটা আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

সেই সঙ্গে কাজে সাময়িকভাবে অনুপস্থিতির সংখ্যা জুলাইয়ে বেড়েছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার, যেটা আগের মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রবণতার মধ্যে ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার।

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, কাজের সঙ্গে থাকা মোট ব্যক্তির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২০ হাজার জন কমে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

খাতভিত্তিক হিসাবে, পাইকারি ও খুচরা এবং নির্মাণ খাতে যে পরিমাণ মানুষ কাজ করে তার সংখ্যাও জুলাইয়ে আগের বছরের তুলনায় তাত্পর্যপূর্ণভাবে কমেছে। বিপরীতে তথ্য ও যোগাযোগ খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১২ শতাংশ। লাইফস্টাইল ও বিনোদন সেবা খাতেও কাজের সংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইকোনমিস্ট ইয়োশিকি শিংকে উল্লেখ করেন, আগের মহামারীর সময় ব্যবসা ও জনগণের চলাফেরার ওপর বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঢেউ শ্রমবাজারের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না।

Collection from bonikbarta