Facebook Youtube Twitter LinkedIn
আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্ব হার বেড়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটির অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে গত জুন ও জুলাইয়ে ১ লাখ ৭ হাজার কর্মসংস্থান কমেছে। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলায় সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে পণ্য, নির্মাণ ও উৎপাদন খাতের কর্মীদের কর্মসংস্থান কমেছে। ওই সময়ে এ খাতে ৩ লাখ ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে এ হার দেশটির অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা বেশি। এদিকে জুলাইয়ে এ হার ছিল ৫ লাখ ২৬ হাজার। আগস্টে পেশাদার ও ব্যবসায়িক পরিষেবা খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতে ৬৮ হাজার লোক যোগদান করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে ৪৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। খুচরা ব্যবসা খাতে ৪৪ হাজার, উৎপাদন খাতে ২২ হাজার এবং নির্মাণ খাতে ১৬ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

দেশটির চাকরির বাজার সার্বক্ষণিক নজর রাখছে ফেডারেল রিজার্ভ। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা দেশটির অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা আছে কিনা সে সম্পর্কিত তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছেন। গত সপ্তাহে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল সতর্ক করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি রোধে সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমানে দেশটির মূল্যস্ফীতি গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ফেড আশা করছে, সুদের হার বৃদ্ধিতে শ্রমবাজার মন্দার চেয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী থাকবে। চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে।

সম্পদ ব্যবস্থাপক ব্রুইন ডলফিনের বাজার বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান জ্যানেট মুই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তবে এ বৃদ্ধির হার এখনো নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশটির নীতিনির্ধারকদের জন্য স্বস্তিদায়ক।

তিনি আরো বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিসংখ্যান অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলেও বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ কমেছে। সামগ্রিকভাবে এ তথ্য-উপাত্ত দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং কর্মসংস্থানের শক্তিশালী অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। ২০২১ সালের আগস্টের তুলনায় প্রতি ঘণ্টায় গড় বেতন ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কারণে খণ্ডকালীন শ্রমিকের সংখ্যা ৩৯ লাখ থেকে বেড়ে ৪১ লাখে পৌঁছেছে।

Collection from bonikbarta