খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।
সম্প্রতি দেশটির জব পোর্টাল বায়াট ডটকম এবং বাজার গবেষণা সংস্থা ইউগভের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইউগভের গবেষণা পরিচালক জাফর শাহ বলেন, বেসরকারি খাতে দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন অনেক। কারণ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলে (মেনা) কর্মী নিয়োগের উচ্চ সম্ভাবনার বিষয়ে জানিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, নিয়োগকর্তারা নিজ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগে পারদর্শী, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবং চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম এমন দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী খুঁজছেন। বর্তমান ও আগামী দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং সুযোগগুলো সফলভাবে কাজে লাগাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ জুন থেকে ১ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, লেবানন, জর্ডান, ইরাক এবং অন্যান্য দেশের ৮৮৯ জনকে নিয়ে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। কভিড-১৯ জনিত মহামারীর শ্লথগতি থেকে আমিরাতের কর্মসংস্থান বাজার শক্তিশালীভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে। সরকারে আর্থিক প্রণোদনা ও আর্থিক ব্যবস্থা এ কাজে সহায়তা করেছে।
অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে বায়াট ডটকম এবং ইউগভের ভিন্ন একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, আরব বিশ্বে দ্বিতীয় এ বৃহত্তম অর্থনীতির প্রায় ৭৬ শতাংশ নিয়োগকর্তা চলতি বছরে তাদের কর্মী বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকোর এক জরিপের তথ্যানুযায়ী, আমিরাতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মচারী ভবিষ্যতে হাইব্রিড পরিবেশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মডেলে কাজ করতে ইচ্ছুক।
বায়াট ডটকম এবং ইউগভের জরিপে দেখা গিয়েছে, মেনা অঞ্চলের স্থানীয় বড় ও বহুজাতিক উভয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৩ শতাংশ আগামী তিন মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মী নিয়োগ করতে চায়। মেনা অঞ্চলের ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে এন্ট্রি লেভের কর্মী নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কর্মী এ পদে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
আমিরাতের প্রায় ২০ শতাংশ নিয়োগকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। আবার ১৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান হিসাবরক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি ১৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রশাসনিক সহকারী খুঁজছে। এছাড়া বিজ্ঞাপন, মার্কেটিং ও জনসংযোগ খাতের প্রায় ৩৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান আমিরাতের উচ্চ মেধাবীদের নিয়োগ দিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। দেশটিতে প্রতিভাবানদের ধরে রাখতে এটি সর্বোত্তম খাত হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এরপর ৩৩ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আবাসন, নির্মাণ ও সম্পত্তি উন্নয়ন খাত। পাশাপাশি এমিরাটিসদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এ খাত প্রথম স্থানে রয়েছে। এ খাতের ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দেশটির মেধাবীদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। এছাড়া বিজনেস কনসালট্যান্সি, ম্যানেজমেন্ট ও ম্যানেজমেন্ট কনসালটিংয়ের ৮৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান আগামী বছর এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ মেধাবীদের নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
Collection from bonikbarta