১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর
বিজ্ঞপ্তির তিন বছর পর অবশেষে ডিসেম্বরে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। এবার চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী সংখ্যা নির্বাচন করা হবে। এতদিন পাশ নম্বর পেলেই সবাইকে উত্তীর্ণ বা সনদধারী হিসাবে ঘোষণা করা হতো।
প্রার্থী নির্বাচনের মানদণ্ড হলো-কর্তৃপক্ষ, এলাকা, বিষয় এবং পদভিত্তিক নিরূপিত শিক্ষকের শূন্য পদের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ঐচ্ছিক বিষয়। বিসিএস পরীক্ষায়ও সাক্ষাৎকারে ডাকার ক্ষেত্রে শূন্যপদের বিপরীতে অনুপাত বিবেচনা করা হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে। তবে কেউ আলাদাভাবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর বা ৪০ না পেলে ফেল হিসাবে তাকে বাদ দেওয়া হবে। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে ১১ লাখ ৭২ হাজার ২৮৬ জন আবেদন করে। ওই বছরেরই ১৫ ও ১৬ মে এটির প্রিলিমিনারি এবং ৭ ও ৮ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর ওই বছরের ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা দুটি স্থগিত করা হয়। আবেদন নেওয়ার ৩ বছর পর পরীক্ষা আয়োজন করায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর। তাই যাদের এই বয়স পার হয়েছে তাদের পরীক্ষা দেওয়া আর না দেওয়া সমান কথা। বর্তমানে এনটিআরসিএ সরাসরি চাকরির সুপারিশ করছে। তাই ব্যক্তিগতভাবে এমপিওভুক্ত পদে কারও চাকরি নেওয়ার সুযোগও কম। যদিও সনদের মেয়াদ আজীবন। এ অবস্থায় ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের কেউ পরীক্ষা দিতে না চাইলে তার ব্যাংক ড্রাফটের অর্থের কী হবে সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সনদের মেয়াদ যেহেতু আজীবন তাই কেউ চাইলে পরীক্ষা দিতে পারবে। এমনকি ৫০ বছর বয়সেও পরীক্ষা নেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানান, করোনার প্রকোপ চলে গেলেও কম্পিউটার সেল ও সার্ভার স্থাপন সংক্রান্ত জটিলতায় পরীক্ষা নিতে বিলম্ব হয়েছে। ধানমন্ডিতে যে অফিস ছিল সেটি তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
এখন ইস্কাটনে এনটিআরসিএ’র প্রধান কার্যালয়ে সার্ভার রুম স্থানান্তর করা হয়েছে। এটি পরিচালনার জন্য ১০টি পদে সিস্টেম অ্যানালিস্ট নিয়োগের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে যথাসময়ে নিয়োগ সম্পন্ন না হলে প্রয়োজনে আউটসোর্সিং করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। পরীক্ষা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রশ্ন প্রণয়ন, মডারেশন ও বিজি প্রেসের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ চলছে। এছাড়া সারা দেশে ২৪টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। কেন্দ্র প্রস্তুতের কাজও অব্যাহত আছে।
Collected from