Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
চাকরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আজিজুল হাসান ওরফে এমরান (৫১), বিউটি আক্তার (৩৫) ও মো. কবির উদ্দিন পিয়াস (৩০)।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম তাদের আটক করে।
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, চাকুরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল চক্রটি। সম্প্রতি প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট (বি.পি.কে.টি) নামে নিজস্ব ওয়েবসাইটে এক হাজার ৯৪৪ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় তারা। বিজ্ঞপ্তিতে ট্রাস্টটির একটি ভুয়া নিবন্ধন নম্বরও ব্যবহার করে তারা। পরে আবেদনকারীদের কাছ থেকে ১৫০-৫০০ টাকা করে পে-অর্ডার সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জমা নেয় তারা। এভাবে মোট ১৯ লাখ টাকা জমা হলে তা উত্তোলন করে আত্মগোপনে যায় প্রতারক চক্রটি। আমেরিকার বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্সের অর্থায়নে ফেয়ারফ্যাক্স বাংলাদেশ প্রকল্প নামে ছয় হাজার ৪৭২টি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দেয় চক্রটি। গত ১৫ জুন এই বিজ্ঞপ্তিগুলো দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ডিবি প্রধান হিসেবে নতুন দায়িত্ব নেয়া ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি মিরপুর এলাকায় ফেয়ারফ্যাক্স বাংলাদেশ প্রকল্প ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট নামক দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জানতে পেরে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেই প্রতিটি পদের জন্য ১৫০-৫০০ টাকা হারে পে অর্ডারের মাধ্যমে মিরপুর বেগম রোকেয়া স্মরণী সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি হিসাব নম্বরে টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেই অফিসের ঠিকানা দেয়া হয় মিরপুর-১০ এর ৬ নং সগকের ১৫ নং বাড়ি। অথচ ওই বাড়ির মালিক একজন আমেরিকা প্রবাসী। তিনি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবগত হয়ে কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ডিবি পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট বা ফেয়ারফ্যাক্স বাংলাদেশ প্রকল্প নামের কোন প্রতিষ্ঠান ওই ঠিকানায় নেই। এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, যে কোনো সরকারি ব্যাংকে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু প্রতারক চক্রের কাছে থেকে ব্যাংক কোনো ডকুমেন্ট রাখা হয়নি। মূলত প্রতারণার উদ্দেশ্যেই সোনালী ব্যাংকের ওই হিসাব থেকে ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কথা বলবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ চক্রে আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Collected from bhorerkagoj