২৩৬০ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ আপিল বিভাগের
১৯৯৪ সালে আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া নিরাপরাধীদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় বহাল রেখে এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মো. সালাহ উদ্দীন দোলন ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
চাকরি ফিরে পেতে অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া আনসার সদস্যরা পৃথক পৃথক রিট করেন হাইকোর্ট। সেই প্রক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ২৮৯ জন এবং ওই বছরের ১০ জুলাই এক হাজার ৪৪৭ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬৭৪ জন নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৬ জুন আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় নিরাপরাধ প্রমানিত হওয়া দুই হাজার ৩৬০ জন রিটকারীর মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা রয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল বিষয়ে রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় দুই হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কয়েকজনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। বাকি দুই হাজার ৪৯৬ আনসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে ২৩৬০ জন আনসার সদস্য অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়।
Collected from bhorerkagoj