চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জাবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্ধ-শতাধিক কর্মচারী অংশ নেন।
পরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানান।
আবু রাইয়ান নামের এক কর্মচারী বলেন, “প্রথম দিকে দৈনিক মজুরি ৩৩০ টাকা দিয়ে শুরু করে এখনও ৩৩০ টাকাই পাচ্ছি। কয়েক বছর যাবত দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে আমাদের জীবন মানের কোনোও পরিবর্তন হয়নি। আমরা অমানবিক জীবনযাপন করছি।”
“বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের চাকরি স্থায়ী ও বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে মৌখিকভাবে বললেও কোনো অগ্রগতি নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন বৃদ্ধি এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি মেনে নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন রাইয়ান।
কোষাধ্যক্ষের আশ্বাসের তিন মাসেও চাকরি স্থায়ীকরণের কোনো উদ্যেগ নেই বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কর্মচারী রাজিয়া আক্তার।
তিনি বলেন, “দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ক্যাম্পাসে ১৬০ জন কর্মচারী রয়েছে। আমরা সবাই দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানাই।
সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান নাইম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে অস্থায়ীভাবে এই মানুষগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অল্প বেতনে শ্রম দিয়ে আসছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতে এই মানুষগুলো প্রতিদিনের ভিত্তিতে যে বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব।”
ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান তিনি।
ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, “আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের উদ্যোগ নিবে।”