কিছু পাকিস্তানি রপ্তানিকারক বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কায় রপ্তানি আদেশ (আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দ্বারা) বাতিল করার কথা জানিয়েছেন।
গত তিন বছরে পাকিস্তানে (২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত) কর্মসংস্থানের হার কিছুটা উন্নত হয়েছিল এবং বেকারত্বের হার কমেছিল। তবে সেই হার আবার উল্টো দিকে যাওয়া শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় স্তরের তুলনায় এই হার নীচের দিকে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ মুদ্রানীতি নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে. সেখানে অর্থনীতি পরপর দুই অর্থবছরের ৬% বৃদ্ধি পায়। তবে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরে এই হার ৩-৪% এ নেমে যেতে পারে।
বিএমএ ক্যাপিটালের নির্বাহী পরিচালক সাদ হাশেমি বলেন, 'অর্থনীতির মন্দার কারণে কর্মসংস্থানের হার কমে গেছে।'
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বৈশ্বিক দ্রব্যমূল্যের তীব্র বৃদ্ধির কারণে চাকরির বাজার সঙ্কুচিত হতে শুরু করেছে। পাকিস্তানে এই হার বাড়ার কারণ হলো- দেশটি জ্বালানির জন্য আমদানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের (ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট) দাম ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলারে নেমে এসেছিল। এটি প্রায় এক মাস আগে ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার ছিল। এই দাম কমার সাথে সাথে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সাদ হাশেমি।
মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রধান অবদানকারী হওয়ায় কৃষি খাত পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাতেও কর্মসংস্থা মাঝে বৃদ্ধি পেলেও আবার তা সঙ্কুচিত হচ্ছে।