তালিকায় এক কর্মকর্তার ২৯ বই, তদন্ত করে ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী
মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বই কেনার তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকার বিষয়টিকে ‘অশোভনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, একজন কর্মকর্তা যিনি এই দায়িত্বের মধ্যে ছিলেন, তার ২৯টি বই থাকা অশোভনীয়।
আজ রবিবার রাত আটটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি নিজে বলছি যে এটা (২৯টি বই থাকা) ঠিক হয়নি। এটা নিয়ে আমরা বসব। তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব।’
১৪৭০টি বইয়ের তালিকা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো বই কেনায় বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি তালিকায় নাম থাকলেও ওই কর্মকর্তার বইগুলো কেনা হয়নি। কেনা হয়েছে সেরা বইগুলো, যেগুলো জগদ্বিখ্যাত ও আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা এবং সুপাঠ্য উপন্যাস কেনা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আজকে আমার নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানেও ওনার বই কেউ কেনেনি। আমার সচিব মহোদয় বললেন যে ঢাকাতেও ওনার বই কেনা হয়নি। যে বইগুলো পাঠক সৃষ্টি করবে সেসব বই কেনা হয়েছে।’
বঙ্কিমচন্দ্রের উদাহরণ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্রও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সেক্ষেত্রে তার লেখা বইও আছে। এ রকম আরো অনেক কর্মকর্তা আছেন যাদের বইগুলো খুবই ভালো। যেমন মোবাইল কোর্ট আইনের উপর বই আছে, ভূমি আইনের উপর বই আছে, আয়করের উপর অনেক ভালো বই আছে। সেটা যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার হয় এখানে অসুবিধার কোনো কারণ নেই।’
সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পূজা কর্মকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লাবিছা রিমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সদস্য রেমন্ড আরেং, সংরক্ষিত নারী আসন-২৮ এর সাংসদ সৈয়দা রুবিনা মীরা, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ ড. তৌহিদা রশীদ প্রমুখ।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার প্রমুখ।
Collected from