Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
‘খুলনায় প্রতিবছর ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে’

খুলনা হাইটেক পার্কে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। খুলনা আইটি, হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। মঙ্গলবার সকালে খুলনা রূপসা নদীর তীরে (দাদাম্যাচ ফ্যাক্টরির সামনে) এই পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে এ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন, তিনি তা করে দেখিয়েছেন। সেই ডিজিটালবাংলাদেশের সুফল এখন আমরা সবাই ভোগ করছি। তিনি বলেছিলেন- নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবেন, তিনি তা করে বিশ্বের দরবারে দেখিয়েছেন আমরাও পারি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে ঢাকার সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ বাড়বে এবং এর সুফল পেতে হলে এখনই খুলনাকে প্রস্তুত হতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইটি সেক্টরে খুলনায় অনেক উদ্যোক্তা আছে। অনেকে ফ্রি-ল্যান্সিং করে, সরকারের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের মাধ্যমে রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে বিদেশি মুদ্রা দেশে আনছে। এই হাইটেক পার্ক এ অঞ্চলের মানুষের নিজেদের আইটি দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রি-ল্যান্সার ঘরে বসে বছরে পাঁচশত মিলিয়ন ডলার আয় করছে। 
এছাড়া অন্যান্য আইটি সেক্টর মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বছরে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি শিল্পে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এবং এ সেক্টর থেকে আয় হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দেশের ১২ জেলায় এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাতেও হবে।
খুলনায় হাইটেক পার্ক নির্মাণে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে উল্লেখ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সাড়ে তিন একর জায়গায় নির্মিতব্য সাততলা ভবনের মধ্যে ট্রেনিং, ইনকিউবেশন, স্টার্টআপ এবং বিজনেস ফ্লোর থাকবে। তিনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খুলনাবাসীকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, খুলনার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অসীম কুমার শান্ত্রা, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম। 
স্বাগত বক্তব্য দেন আইটি-হাইটেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। ধন্যবাদ জানান প্রকল্প পরিচালক একেএএম ফজলুল হক।

COLLECTED FROM JUGANTOR