স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে অন্তত এক মাস সময় লাগবে। দেশের থানাগুলোয় পরীক্ষা প্রশ্ন থাকায় ও সব পুড়ে যাওয়ায় এই দীর্ঘ সময় লাগবে। বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সব প্রশ্নপত্র পুড়ে যাওয়ায় নতুন করে আবারও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও সারাদেশে সরবরাহ করতে হবে। তা করতে অন্তত এক মাস প্রয়োজন। এ কারণে তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এই চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এখনো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সব ধরনের কার্যক্রম শুরু করবো। এছাড়াও কিছু কেন্দ্র এখনো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপযোগী নেই বলেও তিনি জানান।
এদিকে বুধবার বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে বলা বলা হয়েছে আগামী ১১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনিবার্চ কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষা গ্রহণের পরবর্তী সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা যায়, এর আগে চার দফা পিছিয়েছিল। নতুন করে দেওয়া হয়েছিল সূচি। কিন্তু সেটিও আর হল না। ফলে এর ফলে আবারও অনিশ্চয়তা ও বিপদে পড়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ পরীক্ষা কবে শেষ হবে তা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও সংশয় জন্ম নিয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন ১১ তারিখ থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। অনেক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা প্রয়োজন। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিও বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য আবারও নতুন সময়সূচি করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমরা বসতে পারিনি। এটা নিয়ে নোটিশ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বিভিন্ন এলাকায় থানায় হামলা হয়। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
সূত্র বলছে, কোটা আন্দোলকে ঘিরে এখনো অনেক এইচএসসি পরীক্ষার্থী কারাগারে রয়েছে। তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার পর ও উপযুুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে পরীক্ষার তারিখ পুননির্ধারণ করা হবে।
এর আগে গত ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা করে শিক্ষাবোর্ড। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তৃতীয় দফায় ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সূচি অনুযায়ী যত পরীক্ষা ছিল, তা সব স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়।
Collected From Daily Janakantha