যদিও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল ২০১৮ সালে। এমন অনেক চাকরিপ্রার্থী রয়েছে যারা লিখিত পরীক্ষা পাশ করে ইন্টারভিউ দিয়ে এখোনো পর্যন্ত কোর্টের চক্কর কাটছে।
মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ সংস্থা
রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ‘মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন’। পশ্চিমবঙ্গের সাধারন স্কুল গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ঠিক যেমন ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন’ (WB SSC) এর মাধ্যমে হয় ঠিক তেমনি মাদ্রাসা গুলিতেও শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে ‘মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন’ এর মাধ্যমে।
রাজ্যের মোট মাদ্রাসা
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে মোট ৬১৪ টি মাদ্রাসা রয়েছে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এগুলিতে মোট শিক্ষক পদের মধ্যে ৪০ (চল্লিশ) শতাংশ শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
রাজ্যে শুধুমাত্র মাদ্রাসাগুলিতেই যে শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়েছে তা কিন্তু না, সাধারন স্কুলগুলিতেও অনেক শিক্ষক পদ ফাঁকা আছে। অর্থাৎ খুব শীঘ্র রাজ্যে সাধারন এবং মাদ্রাসা স্কুল গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা না হলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে যাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
মাদ্রাসায় শিক্ষকের জন্য কারা আবেদন করতে পারে?
মাদ্রাসায় বাংলা, ইংরেজি, গনিত, ইতিহাস, বিজ্ঞান সহ অন্যান্য বিষয়ে পড়ানো হয়। আর মাদ্রাসায় শিক্ষক পদে চাকরির জন্য হিন্দু, মুসলিম সহ অন্য যেকোনো ধর্মের চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারে। অবশ্যই এক্ষেত্রে দরকারি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
৫ হাজারের কাছাকাছি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন
রাজ্যে ২০১৩ সালের পর থেকে নতুন করে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। এই কারনে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাবে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির অবস্থা বেহাল। এই মুহুর্তে শিক্ষক নিয়োগের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে জানা গেছে যে, মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর রাজ্য সরকারের কাছে 4700 শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন চেয়েছে।
এখন দেখা যাক কত তাড়াতাড়ি বা কতটা দেরি করে রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
collected from kajkarmo