গৃহঋণের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের আরও বাড়তি সুবিধার দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
সরকারের জারি করা নতুন পরিপত্র অনুযায়ী এখন সরকারি চাকরিজীবীরা জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এতে করে আবাসন খাতের বাজার চাঙ্গা হবে এমনটাই আশা করছে সংগঠনটি।
আবাসন সমস্যা সমাধান কল্পে সম্প্রতি সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। স্বল্প সুদে গৃহঋণের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ শতাংশ সুদ হারে গৃহঋণ পাবেন। পরিপত্রের আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। এ ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। তবে এ ১০ শতাংশ সুদের ৫ শতাংশ সরকার এবং বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদহারে একজন সরকারি কর্মচারী সর্বোচ্চ ঋণ পান এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্তরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে পারবেন।
সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে রিহ্যাবের কর্মকর্তারা জানান, ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মকচারি এই ঋণ সুবিধা পেলে আবাসন খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুন বাজার তৈরি হওয়ার চাহিদা বাড়বে ফ্ল্যাট ও প্লটের।
রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শাসুল আলামিন বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সরকারি চাকরিজীবীদের এই সুবিধা দেয়ার ফলে ১২ লাখ চাকরিজীবী তাদের আবাসন সমস্যার অবসান ঘটবে। আর এক্ষেত্রে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক বেঁধে দেয়া সুদের হার কার্যকর করছে না। বিশেষ করে অনেক ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও লিজিং কোম্পানি এই নিয়ম মানছে না। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, দুদক থেকে নতুন ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের বিধি-নিষেধ কিংবা হয়রানি নেই। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কিছু প্রশ্ন রিহ্যাবের কাছে এসেছিল। রিহ্যাব একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে এনবিআর এর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, এনবিআর অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চায় না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
Collected from বাংলাদেশের খবর