ইতালির রোমে প্রবাসীদের জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ইউরোপের মধ্যে ইতালিতে প্রথম এই কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে।
১ জুন স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ওপেন স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, সামজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার ড. শফিকুল আলম।
অনলাইনে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, মো. জসিম উদ্দিন, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক), আসিফ আনাম সিদ্দিকী, প্রথম সচিব (শ্রম), আয়েশা আকতার এবং মো. আশফাকুর রহমান, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) পরিচালিত বহিঃবাংলাদেশ (নিশ-২) এসএসসি, এইচএসসি ও বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামসমূহের কার্যক্রম শিগগিরই ইতালিতে চালু হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও রোমের তত্ত্বাবধায়নে এসব কর্মসূচিতে ইতালিতে বসবাসরত/কর্মরত বাংলাদেশি অথবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালি প্রবাসীরা অংশ নিতে পারবেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
এসব প্রোগ্রামে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তির সুযোগ থাকবে। ইতালির সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনলাইনে টিউটোরিয়াল ক্লাস এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট সংযোগসহ ফোন/ল্যাপটপ/কম্পিউটার প্রয়োজন হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস পরিচালিত একটি অনলাইন সমীক্ষায় ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে এরই মধ্যে এই প্রোগ্রামের বিষয়ে আশাব্যাঞ্জক সাড়া পাওয়ায় দূতাবাস উদ্যোগ নেয়। তিনি এই কার্যক্রমকে প্রবাসীদের জন্য একটি পরিষেবা হিসেবে বিবেচনা করে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘প্রবাসী বান্ধব’ নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইতালিতে কর্মরত অনেকেই জীবিকার তাগিদে বা সময়ের অভাবে পড়ালেখা করার সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছেন কিন্তু বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রোগ্রাম তাদের বিদেশের মাটিতে কাজের ফাঁকে ও অবসরে নিজেদের দক্ষ এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উচ্চতর যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রোগ্রাম বাংলাদেশিদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় সহায়ক হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিক্ষা কার্যক্রমের প্রসার প্রয়োজন এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে।
Collected from jagonews24